দক্ষিণ কোরিয়া থেকে উত্তর কোরিয়া পালিয়ে দুই মাস বন্দি থাকার পর যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন মার্কিন সেনা ট্রাভিস কিং। বুধবার তাকে বহিষ্কার করে চীনে পাঠায় পিয়ংইয়ং। ওই দিনই চীনে তাকে হেফাজতে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার তাকে টেক্সাস নিয়ে আসা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
গত ১৮ জুলাই ট্রাভিস নিজের ইচ্ছায় ও অবৈধভাবে আন্তঃকোরিয়া সীমান্তের বেসামরিকীকরণ অঞ্চল অতিক্রম করে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন। উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়েছিল, মার্কিন সেনাবাহিনীতে অমানবিক আচরণ ও বর্ণবাদের কারণে তিনি পালিয়েছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে তার অবতরণের মুহূর্ত প্রচার করেছে। এগুলোতে দেখা গেছে, সামরিক ঘাঁটিতে থাকা কর্মকর্তারা তাকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। টেক্সাসের সান আন্তোনিওতে পূর্বাঞ্চলীয় সময় দেড়টার দিকে তিনি বিমান থেকে নামেন।
কর্মকর্তারা বলছেন, যে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আগে তার শরীর পরীক্ষা করা হবে।
ট্রাভিসের মা ক্লাউডিন গেটস মুখপাত্রের মাধ্যমে একটি বিবৃতিতে বলেছেন, একটি ভালো কাজ করার জন্য মার্কিন সেনাবাহিনী এবং তার অংশীদারদের কাছে তিনি চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকবেন।
২০২১ সালে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। উ. কোরিয়ায় প্রবেশের আগে হামলার অভিযোগে দ. কোরিয়ায় দুই মাস বন্দি ছিলেন। সাজা কাটিয়ে ১০ জুলাই মুক্তি পান। কিন্তু সেনাবাহিনীতে নিয়ম ভঙ্গের জেরে শাস্তির মুখোমুখি হতে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তা না করে অবৈধভাবে আন্তঃকোরিয়া সীমান্তের বেসামরিকীকরণ অঞ্চল অতিক্রম করেন।
তার মুক্তির বিষয়ে আলোচনা সুইডিশ কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতায় হয়েছে। সুইডিশ কর্মকর্তারা উত্তর কোরিয়া সফর করেন এবং ট্রাভিস কিংকে চীনের সীমান্তে নিয়ে এসেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। পিয়ংইয়ংয়ে সুইডেনের দূতাবাস ওয়াশিংটনের পক্ষে ঐতিহাসিকভাবে আলোচনা চালিয়ে আসছে।