মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন ডেমোক্র্যাট নেতা ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তার এই পরাজয়ে সহকর্মী ও সমর্থকরা শ্রদ্ধা ও সমর্থন জারি রাখার কথা জানিয়েছেন। কমলার পরাজয়ের পরও তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাইডেন। তাকে মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও গর্ব করেন তিনি। কমলার আমেরিকার ইতিহাসে একজন অনুসরণীয় নেতা হয়ে থাকবেন বলে আশাও ব্যক্ত করেন। একটি বিশ্লেষধর্মী প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
জুলাইয়ে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তখন দলের প্রতিনিধি ও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে নিজের নির্বাচিত রানিংমেট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলার নামটি ঘোষণা করেছিলেন। বাইডেনের এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর দল ও নির্বাচনি প্রচারণার সবটুকু দায়িত্ব পড়েছিল কমলার ঘাড়েই। সেগুলো যে সঠিকভাবেই সামাল দিতে পেরেছেন কমলা বাইডেনের বিবৃতিতে তা স্পষ্ট।
নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই কমলার প্রতি নিজের সমর্থন ও শ্রদ্ধা জারি রাখার কথা জানান সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এর কিছুক্ষণ পরই কমলাকে নিয়ে নিজের অবস্থান জানান প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
একটি বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘আমেরিকা আজ যে কমলা হ্যারিসকে দেখল তাকেই আমি চিনি এবং তারই প্রশংসা করি।’ বিবৃতিতে কমলাকে একজন ‘অসাধারণ সহযোগী এবং সততা, সাহস ও ব্যক্তিত্বপূর্ণ জনসেবক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বাইডেন।
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রানিংমেট হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলাকে নিয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে বাইডেন বলেন, ডেমোক্র্যাট থেকে মনোনীত হওয়ার পর কমলাকে রানিংমেট নির্বাচন করা তার নেওয়া ‘প্রথম’ ও ‘সেরা’ সিদ্ধান্ত ছিল।
কমলাকে নিয়ে বাইডেন বলছিলেন, ‘তার গল্পটি আমেরিকার সেরা গল্পের প্রতিনিধিত্ব করে এবং আজ যেমনটি তিনি স্পষ্ট করেছেন, আমার কোনও সন্দেহ নেই যে, তিনি সেই গল্পের রচনা চালিয়ে যাবেন। লক্ষ্য, সংকল্প ও আনন্দের সঙ্গেই লড়াই চালিয়ে যাবেন তিনি।’
তার ভবিষ্যত নিয়ে আশাবাদী বাইডেন আরও বলেন, ‘তিনি সব আমেরিকানদের জন্য একজন চ্যাম্পিয়ন হতে থাকবেন। সর্বোপরি, তিনি এমন একজন নেতার উদাহরণ হয়ে উঠবেন যাকে আমাদের সন্তানরা আগামী প্রজন্মের জন্য খুঁজবে। কেননা, তিনি আমেরিকার ভবিষ্যতে নিজের ছাপ রাখতে চলেছেন।’