যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রাজিল থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। একই সঙ্গে সাবেক ব্রাজিলীয় প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর বিরুদ্ধে চলমান বিচার বন্ধেরও দাবি জানান তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প বলেন, ব্রাজিলের বর্তমান সরকার মুক্ত নির্বাচনের ওপর আক্রমণ করছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বাকস্বাধীনতা হরণে সহায়তা করছে। এই অবিচার রোধে ৫০ শতাংশ শুল্ক অত্যাবশ্যক।
ট্রাম্পের ঘোষণার জবাবে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা বলেন, আমাদের বিচারব্যবস্থায় হস্তক্ষেপের চেষ্টা করা হলে তার জবাব আমরা যথাযথভাবেই দেবো। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
লুলা আরও বলেছেন, ট্রাম্প শুল্ক আরোপ করলে তার পাল্টা ব্যবস্থা নেবে ব্রাজিল। এই ধরনের আগ্রাসী বাণিজ্যনীতিকে আমরা স্বাভাবিকভাবে মেনে নেব না।
এর আগেও দুই নেতা বলসোনারোর বিচার নিয়ে বাকযুদ্ধে জড়িয়েছেন। ট্রাম্প বলসোনারোর বিচারকে ‘আন্তর্জাতিক কলঙ্ক’ বলে আখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, তাকে আমি সম্মান করি। তার প্রতি এই আচরণ রাজনীতির প্রতিহিংসা ছাড়া কিছু নয়। অন্যদিকে লুলা স্পষ্ট করে বলেছিলেন, বিচারব্যবস্থায় হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই, এটি ব্রাজিলের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
এছাড়া, বুধবার ট্রাম্প ঘোষণা দেন, জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে আমদানি করা তামার ওপরও ১ আগস্ট থেকে ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে।
এই সপ্তাহে ট্রাম্প বিশ্বের ২২টি দেশের কাছে এমন শুল্কপত্র পাঠিয়েছেন। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও শ্রীলঙ্কাসহ বহু বাণিজ্য অংশীদার দেশ এতে অন্তর্ভুক্ত। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অনেক দেশের বাণিজ্য ঘাটতি থাকলেও ব্রাজিলের ক্ষেত্রে তা উল্টো। যুক্তরাষ্ট্র গত বছর ব্রাজিলে পণ্য রফতানি করে বেশি আয় করেছে।