X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৪ বৈশাখ ১৪৩১
বেশি ঝুঁকিতে ১০ জেলা

তাপমাত্রা আরও বাড়লে বিপর্যস্ত হবে জীবনযাত্রা: বিশ্ব ব্যাংক

ব্রজেশ উপাধ্যায়, যুক্তরাষ্ট্র
২৫ এপ্রিল ২০১৮, ০০:২২আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০১৮, ০১:১২

বিশ্ব ব্যাংকের নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাপমাত্রার আর বাড়লে বাংলাদেশের অনেক এলাকায় আগামী ৩০ বছরের মধ্যে আয় ১৪.৪ শতাংশ হ্রাস পাবে। তাপমাত্রা বাড়ার প্রভাবে ভারতের এমন আক্রান্ত এলাকাগুলোতে আয় হ্রাসের পরিমাণ হবে ৯.৮ শতাংশ আর শ্রীলংকার আক্রান্ত এলাকাগুলোতে ১০ শতাংশ। ‘সাউথ এশিয়াস হট স্পটস’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে, ‘দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ দেশেই তাপমাত্রা যথার্থ সীমার চেয়ে এতটাই উঠে গেছে যে তা আর বাড়লে জীবনযাপন মানের শুধুই নিচে নামতে থাকার কথা, যা আর কোনও দিনও ফিরিয়ে আনা যাবে না।’ তাপমাত্রা আরও বাড়লে বিপর্যস্ত হবে জীবনযাত্রা: বিশ্ব ব্যাংক

তাপমাত্রা বাড়ার প্রভাবে বৃষ্টিপাত অনিয়মিত হয়ে পড়বে যা ফসলহানির কারণ হবে। পানির দুষ্প্রাপ্যতা দেখা দেবে এবং অনুকূল পরিবেশের সন্ধানে অনেক বেশি মানুষ এলাকা ত্যাগে বাধ্য হবে। বিশ্ব ব্যাংকের প্রাক্কলন অনুযায়ী, এসব কারণে দক্ষিণ এশিয়ার ৮০ কোটি মানুষ জীবনযাপনের মান ও আয়ের পরিমাণ হ্রাসের ঝুঁকি রয়েছে। বাংলাদেশের জেলাগুলোর মধ্যে বর্ধিত তাপমাত্রার প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কার মধ্যে যে ১০ টি জেলা রয়েছে সেগুলো হলো: কক্সবাজার, বান্দরবান, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, নোয়াখালি, ফেনি, খাগড়াছড়ি, বরগুনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা।

ভারতের যে ১০টি জেলা তাপমাত্রা বাড়ার প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কার মধ্যে রয়েছে সেগুলোর মধ্যে ৭টিই মহারাষ্ট্রের সেই ভিদারভা এলাকায় অবস্থিত, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যেখানে অনেক কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। প্রতিবেদনের মুখ্য লেখক মুথুকুমারা মনি বলেছেন, ‘বেশিরভাগ তাপ আক্রান্ত এলাকা দরিদ্র ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত, যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে মূল অর্থনৈতিক কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে যাদের সংযোগ নেই।’

তার মতে, দক্ষিণ এশিয়ার তাপ আক্রান্ত এলাকাগুলোসহ অনেক এলাকা যেগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবমুক্ত হিসেবে ধরে নেওয়া হয়েছিল, সেগুলো ২০৫০ সালের মধ্যে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে যথাযথ খাতে অর্থ বরাদ্দের পরামর্শ দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজেদের আর্থিক সম্পদ বরাদ্দে তাদের অগ্রাধিকারভিত্তিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা উচিত, যাতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি ও পরিবারগুলোকে সুরক্ষা বলয়ের ভেতর আনা সম্ভব হয়।

মনি বলেছেন, দেশগুলোর উচিত তাদের সম্পদ বিক্ষিপ্তভাবে ব্যবহার না করে এই গুরুতর বিষয়গুলোর প্রতি নজর দেওয়া। তাদের উচিত স্থানীয় পরিস্থিতির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। জীবনযাত্রার মান হ্রাসের প্রভাব কমাতে বাংলাদেশের প্রতি মনির পরামর্শ, ‘অকৃষি খাতে কর্মসংস্থান তৈরি এবং শিক্ষা ও অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করা।’ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আফগানিস্তান ও নেপালের মতো ঠাণ্ডা ও শুষ্ক পর্বতমালাময় অঞ্চলে এ সময়ে গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় জীবনযাত্রার মান তুলনামূলকভাবে বাড়তে পারে।

/এএমএ/এমপি/
সম্পর্কিত
লাদাখ সীমান্তে বিরোধচীনের সঙ্গে আলোচনায় আশাবাদী রাজনাথ সিং
তাইওয়ান প্রণালিতে আবারও চীনা সামরিক বিমান শনাক্ত
চীনের দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক ধসে নিহত ৩৬
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশের কৃষির পরিবর্তনে বৈশ্বিক অংশীদারত্বের সহযোগিতা করার অঙ্গীকার
বাংলাদেশের কৃষির পরিবর্তনে বৈশ্বিক অংশীদারত্বের সহযোগিতা করার অঙ্গীকার
সড়ক সম্প্রসারণকাজে ৩৪৩ গাছের মৃত্যু, জনমনে ক্ষোভ
সড়ক সম্প্রসারণকাজে ৩৪৩ গাছের মৃত্যু, জনমনে ক্ষোভ
ভারতে আজ তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলছে
ভারতে আজ তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলছে
বৃষ্টিতেই কাটলো ওয়াসার পানির সংকট
বৃষ্টিতেই কাটলো ওয়াসার পানির সংকট
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস