X
রবিবার, ১১ মে ২০২৫
২৮ বৈশাখ ১৪৩২

চেহারা বদলে পালিয়ে বেড়াতেন তিনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪:৩২আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪:৩৪

মাদকের কারবার করেন তিনি। সুদর্শন হওয়ার ইচ্ছাও প্রবল। থাই মাদক কারবারি ঠিক করলেন, মুখে প্লাস্টিক সার্জারি করাবেন। এতে পুলিশের চোখ ফাঁকি দেওয়াী  পাশাপাশি নিজের বাসনাও পূরণ হবে। যেই ভাবনা সেই কাজ। সাহারত সাওয়াংজায়েং নিজেকে সঁপে দেন সার্জনের কাঁচি ছুরির নিচে। 

চেহারার পাশাপাশি পাল্টে ফেলেন নিজের নামও। জিমিন চেয়ং নামে সবাইকে পরিচয় দিতেন তিনি। জিমিন অবশেষে ধরা পড়লেন পুলিশের ফাঁদে। ব্যাংককের একটি কনডমিনিয়ামে থেকে গত সপ্তাহে তাকে গ্রেফতার করে থাই পুলিশ।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাহারত সাওয়াংজায়েং একজন থাই ড্রাগ ডিলার। সুদর্শন কোরিয়ান পুরুষের মতো দেখতে এবং আইন এড়াতে বেশ কয়েকবার মুখের প্লাস্টিক সার্জারি করান তিনি।

পুলিশ জানায়, গত তিন মাস ধরে ২৫ বছর বয়সী যুবকের সন্ধানে ছিলাম আমরা। সার্জারি করে নিজেকে তিনি এমনভাবে বদলে ফেলেছেন যে তার আসল চেহারার কিছুই অবশিষ্ট নেই।

 

চেহারা বদলে পালিয়ে বেড়াতেন তিনি

 

ব্যাংককের একটি মার্কেটে মাদক কেনাবেচার সময় পুলিশ তাকে সন্দেহ করে। এরপর তারা সাহারতের পিছু নেয়।

পুলিশ বলছে, সাহারত তাদের জানিয়েছে যে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় জীবন পুনরায় শুরু করতে চান।

পুলিশ গত সপ্তাহে জানায়, সাহারতের বিরুদ্ধে মাদকের অবৈধ আমদানির অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে ডার্ক ওয়েবে এমডিএমএ (এক্সট্যাসি নামেও পরিচিত) অর্ডার করার কথা স্বীকার করেছেন।

এর আগে সাহারত অন্তত তিনবার গ্রেফতার হয়েছিলেন। একবার তাকে হামলার অভিযোগে আটক করা হয়েছিল। তখন পুলিশ তার কাছ থেকে ২৯০টি এক্সটেসি ট্যাবলেট এবং ২ কেজি (৪.৪ পাউন্ড) মাদকদ্রব্য তরল আকারে খুঁজে পেয়েছিল।

ভাগ্যক্রমে সেবার সাহারত পালাতে পেরেছিলেন। এরপরই প্লাস্টিক সার্জারি করানো শুরু করেন তিনি।

থাই পুলিশের মেজর-জেনারেল থামাসুতির বরাতে দ্য স্ট্রেইটস টাইমস জানিয়েছে, ব্যাংককে এমডিএমএ মহামারির অন্যতম প্রধান কারণ এই সাহারত।

থামাসুতি বলেন, ‘মাত্র ২৫ বছর বয়সে ইউরোপ থেকে এমডিএমএ আমদানি করে ড্রাগ লর্ডে পরিণত হয়েছেন তিনি। আমরা বিশ্বাস করি, বিদেশে তার আরও সঙ্গী রয়েছে। আমরা আমাদের তদন্ত চালিয়ে যাব।’

/এসপি/
সম্পর্কিত
প্রথম বিদেশ সফরে মধ্যপ্রাচ্য যাচ্ছেন ট্রাম্প
বনশ্রীতে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে গৃহকর্তা গ্রেফতার
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত‘নাজুক যুদ্ধবিরতি’: বন্দুক নীরব, কিন্তু শান্তি কি টিকবে?
সর্বশেষ খবর
প্রথম বিদেশ সফরে মধ্যপ্রাচ্য যাচ্ছেন ট্রাম্প
প্রথম বিদেশ সফরে মধ্যপ্রাচ্য যাচ্ছেন ট্রাম্প
পাকিস্তান সফরের জন্য আমরা প্রস্তুত, বাকিটা বোর্ড জানে: সালাউদ্দিন
পাকিস্তান সফরের জন্য আমরা প্রস্তুত, বাকিটা বোর্ড জানে: সালাউদ্দিন
যশোরে ট্রেন ও ট্রাকের সংঘর্ষে আহত ২
যশোরে ট্রেন ও ট্রাকের সংঘর্ষে আহত ২
‘বকেয়া ট্যাক্স না দিলে সিটি করপোরেশনের লোকজন বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিরক্ত করবে’
‘বকেয়া ট্যাক্স না দিলে সিটি করপোরেশনের লোকজন বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিরক্ত করবে’
সর্বাধিক পঠিত
আরও কমলো স্বর্ণের দাম
আরও কমলো স্বর্ণের দাম
ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ
যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ
আওয়ামী লীগ কচু পাতার পানি না: কাদের সিদ্দিকী
আওয়ামী লীগ কচু পাতার পানি না: কাদের সিদ্দিকী
ব্যাংকে টাকা আসছে নাকি বের হয়ে যাচ্ছে
ব্যাংকে টাকা আসছে নাকি বের হয়ে যাচ্ছে