ভারতে গৃহশিক্ষককে হত্যার অভিযোগে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিল্লি থেকে তাকে আটক করা হয়। দিল্লির জামিয়া নগরের বাটলা হাউজের দ্বিতীয় তলার একটি ঘর থেকে ২৯ আগস্ট ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
দিল্লি পুলিশ বলছে, কিশোরকে বিভিন্ন সময়ে যৌন নির্যাতন করেছিলেন তিনি। ২৮ বছরের ওই গৃহশিক্ষক নিয়মিত কিশোরকে গালিগালাজ করতেন। এমনকি গোপন ভিডিও ধারণ করে তা দিয়ে ব্ল্যাকমেইলও করতেন তিনি।
দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির ডিসিপি রাজেশ দেও বলেন, ‘৩০ আগস্ট দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে একটা কল আসে। জানায়, জামিয়া নগরের বাটলা হাউজের দ্বিতীয় তলার একটি ঘর থেকে রক্ত বের হচ্ছে। ঘরটি খোলা রয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গলায় গভীর কাটা ক্ষতসহ মেঝেতে পড়ে থাকা এক ব্যক্তির মরদেহ পাই।’
দিল্লি পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গৃহশিক্ষক তার পরিবারের সঙ্গে জাকির নগরে থাকতেন।
পুলিশ ঘটনাটিকে খুনের মামলা নথিভুক্ত করে তাৎক্ষণিক তদন্ত শুরু করে। শুরুতে পুলিশ জানতে পারে গৃহশিক্ষক ছিলেন সমকামী। দুই মাস আগে কিশোরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তারপর থেকে বেশ কয়েকবার ওই কিশোরকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, কিশোরের সঙ্গে অন্তরঙ্গ ভিডিও শুট করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন ওই গৃহশিক্ষক।
ঘটনার দিন জামিয়া নগরে নিজের বাড়িতে কিশোরকে ডাকেন তিনি। ফোন পেয়ে কিশোর ধারালো কাটার নিয়ে অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছায়। তারপর সেটা দিয়ে শিক্ষকের গলা কেটে ফেলে বলে অভিযোগ রয়েছে।
যে এক কক্ষের অ্যাপার্টমেন্টে মরদেহ পাওয়া গেছে সেটি ওই ব্যক্তির পরিবারের মালিকানাধীন। সম্পত্তিটি ভাড়ায় ছিল। ক'দিন আগে সেই ভাড়াটিয়া বাড়িটি ছেড়ে দেন।
সূত্র: এনডিটিভি