এক দশকের মধ্যে প্রথমবার বড় আকারের সামরিক কুচকাওয়াজ আয়োজন করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। শক্তি প্রদর্শন করতে মঙ্গলবার সিউলের রাস্তায় অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে কুচকাওয়াজে অংশ নেয় কোরিয়ার সেনাবাহিনী। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
রাজধানীতে দুই কিলোমিটারজুড়ে কুচকাওয়াজে অংশ নেয় সেনারা। মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় এই মহড়া শুরু হয়। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে এই আয়োজন করেছে দেশটি।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, এই সামরিক মহড়ায় প্রায় সাত হাজার সেনা অংশগ্রহণ করেছে। তাছাড়া ট্যাংক, স্ব-চালিত কামান ও আক্রমণ বিমান ও ড্রোনসহ ৩৪০টির বেশি সামরিক সরঞ্জাম প্রদর্শন করা হয়।
সিউল বিমান ঘাঁটিতে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল পিয়ংইয়ংকে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন এবং সামরিক ও প্রতিরক্ষা শিল্পের জন্য সমর্থন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়া যদি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে, তাহলে দক্ষিণ কোরিয়া -মার্কিন জোটের অপ্রতিরোধ্য প্রতিক্রিয়ায় দেশটির শাসনের অবসান ঘটানো হবে।
কুচকাওয়াজে ৭ হাজার সেনা অংশ নেয়। এতে হাইউনমু ক্ষেপণাস্ত্র, এল-এসএএম মিসাইল ইন্টারসেপ্টর, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ও দেশে প্রথম বানানো কেএফ-২১ জনসাধারণের সামনে প্রদর্শন করা হয়।
হাইউনমু দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর একটি। বিশ্লেষকদের মতে, সংঘাতের সময় উত্তর কোরিয়াকে আঘাত করতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। আর ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার উচ্চতায় আসা ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করতে সক্ষম এল-এসএএম।
দক্ষিণ কোরিয়া সর্বশেষ ২০১৩ সালে সামরিক কুচকাওয়াজ আয়োজন করেছিল।