ফিলিস্তিনের গাজায় হামাসের হাতে জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া ১৭ থাই নাগরিকের প্রথম দলটি যখন ব্যাংকক বিমানবন্দরে পৌঁছায়, তখন তারা তাদের নিহত সহকর্মীদের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালনের আহ্বান জানায়।
বৃহস্পতিবার দলটির প্রতিনিধি উথাই সায়েঙ্গনুয়ান সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের ৩৯ সহকর্মীর মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তাদের স্মরণে আমি সবাইকে নীরবতা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।
থাইল্যান্ডের সরকারের মতে, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ৩৯ থাই নাগরিক নিহত ও ৩২ জনকে জিম্মি করা হয়। এখন পর্যন্ত মুক্তি পাওয়া ২৩ থাই জিম্মির মধ্যে ১৭ জন বৃহস্পতিবার ব্যাংকক ফিরেছেন। ৯ জন এখনও জিম্মি রয়েছে।
বিমানবন্দরে ফিরে আসা থাই নাগরিকদের কয়েকজন থাইল্যান্ড ও ইসরায়েলের পতাকায় তৈরি শার্ট পরেছিলেন।
উথাই সায়েঙ্গনুয়ান বলেন, আমি ইসরায়েল ও থাই কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের সহযোগিতা করার জন্য। আশা করি বাকিরাও ফিরে আসবে।
হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর আগে ইসরায়েলের কৃষিখাতে প্রায় ৩০ হাজার থাই শ্রমিক কাজ করছিলেন। ইসরায়েলে সবচেয়ে বেশি অভিবাসী শ্রমিক পাঠায় থাইল্যান্ড। সংঘাতের পর প্রায় ৯ হাজার দেশে ফিরে এসেছেন।
সুব্রামনিয়াম বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মেলনে জিম্মিদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেতা থাভিসিন। এ সময় তিনি বলেন, সব থাই নাগরিক আপনাদের জন্য উদ্বিগ্ন।
বিমানবন্দরে ফিরে আসা শ্রমিকদের স্বজনরাও জড়ো হয়েছিলেন স্বাগত জানাতে। উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রানপ্রি বাহিদ্দা-নুকারা। তিনি বলেছেন, শ্রমিকদের মুক্তির বিষয়ে মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশে হামাস সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। মিসর ও কাতার সফর করতে হয়েছে।
থাইল্যান্ডের একটি মুসলিম গোষ্ঠী সরাসরি হামাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তাদের দাবি, জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে তাদের আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
সূত্র: রয়টার্স