ফিলিপাইনকে মার্কিন সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ম্যানিলা সফরের সময় দেশটিকে দেওয়া মার্কিন নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি। এসময় যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন সম্পর্ককে ‘লোহার’ মতো দৃঢ় বলে উল্লেখ করেন ব্লিঙ্কেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই খবর জানিয়েছে।
দক্ষিণ চীন সাগরে বিরোধপূর্ণ দাবি নিয়ে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ফিলিপাইন এবং চীনের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। এরই মধ্যে দেশটিতে সফরে গেলেন মার্কিন এই প্রতিনিধি।
ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র সচিব এনরিক মানালোর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘এই জলপথগুলো ফিলিপাইন, এর নিরাপত্তা এবং অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘এগুলো এই অঞ্চল, যুক্তরাষ্ট্র এবং বৈশ্বিক স্বার্থের জন্যও জটিল ও জরুরি বিষয়।’
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আর এ কারণেই আমরা ফিলিপাইনের পাশে দাঁড়িয়েছি এবং আমরা পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তিসহ আমাদের দৃঢ় প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতিতে অটল রয়েছি।’
এসময় মানালো বলেছেন, ফিলিপাইন এবং যুক্তরাষ্ট্র তাদের সম্পর্ককে আরও ‘উন্নত’ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
চলতি বছরের মার্কিন নির্বাচনকে সামনে রেখে মানালোকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির মূল্যায়ন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে বিবিসিকে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কখনোই উচ্চতর ও বৃহত্তর পর্যায়ের ছিল না।’
স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই সফরের সময় ফিলিপিনো কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাণিজ্য বিষয়েও আলোচনা করবেন ব্লিঙ্কেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সফরটি ফিলিপিনো প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের জন্য আমেরিকান সমর্থনকে আরও দৃঢ় হিসেবে তুলে ধরছে। ফার্দিনান্দ তার পূর্বসূরি রদ্রিগো দুতার্তের নীতির বিপরীতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ঝুঁকেছেন। যেখানে চীনের সঙ্গে ফিলিপাইনের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়েছিলেন রদ্রিগো।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজ ঘোষণা করেছে, এপ্রিলে ফার্দিনান্দ মার্কোস এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে একটি শীর্ষ বৈঠকের আয়োজন করবেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত কেন্দ্র ফিলিপাইন, যেখানে আমেরিকান শক্তি এবং প্রভাবের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে চীন।