‘ব্যাংক গোপনীয় আইন’ এর কঠোরতা ফিলিপাইনে মানিলন্ডারিং ঠেকানোর প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে বলে মনে করেন দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আমানডো টেটানকো জুনিয়র।
এজন্য তিনি কিছু শর্ত সাপেক্ষে ব্যাংকে জমা হওয়া টাকার উৎস সম্পর্কে আরও বেশি জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দাবি করেছেন টেটানকো দেশটির মানিলল্ডারিং বিরোধী কাউন্সিলের (এমএমএলসি) সভাপতিও।
সম্প্রতি দেশটির থ্রিফ্ট ব্যাংকের ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, যখন কোনও মানি লন্ডারিং মামলা বা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়ে যায়, তখনই বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য কাউন্সিলে আসে। তাই বলা যায় ঘটনাটি ইতিমধ্যে ঘটে গেছে।
তিনি আরও বলেন, এ মুহূর্তে ফিলিপাইনের মুদ্রাপাচার প্রতিরোধে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কারণ ব্যাংক গোপনীয় আইন এর কঠোরতা মানিল্ডারিং প্রতিরোধ কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে।
তাই এ প্রেক্ষাপটে কিছু শর্ত সাপেক্ষে দেশের ব্যাংক কঠোরতা আইন শিথিল বা বাতিল করার পক্ষে মত দিয়েছেন আমানডো টেটানকো। তবে বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেননি তিনি।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮১ মিলিয়ন ডলার চীনা হ্যাকারা চুরি করে ফিলিপাইনে পাচার করে। এ ঘটনা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। মূলত বিজেল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের ৫টি ভুয়া অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এই অর্থ সেখানের তিনটি স্থানীয় ক্যাসিনোতে জুয়া খেলার পর অন্য দেশে পাচার হয়ে যায়।
মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ কাউন্সিল, ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন এবং সিনেট ঘটনাটি তদন্ত করছে। যদিও বিশ্বব্যাপী আর্থিক ব্যবস্থায় ফিলিপাইনের দুর্বল দিকগুলোই বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে।
/এসএনএইচ /এএইচ/আপ-এআর/