ভারতের আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় কেউ বেঁচে নেই বলে ধারণা করছে স্থানীয় পুলিশ। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি ও মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)-এর খবরে বলা হয়েছে, আহমেদাবাদ শহরের পুলিশ প্রধান এ কথা জানিয়েছেন।
আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জি.এস. মালিক এপিকে বলেছেন, বিমান দুর্ঘটনায় কোনও জীবিত ব্যক্তি থাকার সম্ভাবনা খুবই কম বলে মনে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বিমানটি একটি আবাসিক ও অফিস পাড়ায় বিধ্বস্ত হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে।
কমিশনার বলেন, হতাহতের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা হচ্ছে। কিছু মানুষকে চিকিৎসার জন্য আনা হয়েছে, কিন্তু তাদের বেঁচে থাকা কঠিন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী একটি ফ্লাইট আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি চিকিৎসক হোস্টেলের ওপর ভেঙে পড়ে। বিমানে ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। এখনও উদ্ধারকাজ চলছে, তবে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এর আগে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স ঘটনাস্থল থেকে ৩০টি মরদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়েছিল। পরে রয়টার্স পুলিশের বরাতে জানিয়েছে, অন্তত ১০০ মরদেহ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, এটি একটি অত্যন্ত মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। উদ্ধার অভিযান চলছে। পুরো চিত্র জানতে আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা অনেক মানুষকে হারিয়েছি। যারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, আমরা তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
বিমানটিতে মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। যাদের মধ্যে ২১৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক, ১১ জন শিশু ও ২ জন নবজাতক। যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং একজন কানাডীয় নাগরিক বলে জানিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া।
সূত্র: বিবিসি