বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক কুঠিবাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। ঘটনাটিকে ‘বাঙালি সংস্কৃতির ওপর আঘাত’ বলে উল্লেখ করে দলটি সোমবার কলকাতা ও দিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে।
কলকাতায় ‘চলো অভিযানে’র ডাক দেয় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে দুপুর ৩টায় শুরু হওয়া মিছিলে শতাধিক কর্মী-সমর্থক অংশ নেন। তারা বাংলাদেশ উপদূতাবাসের সামনে অবস্থান নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়িতে হামলার প্রতিবাদ জানান।
বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কেবল কবি নন, তিনি বাঙালির আত্মপরিচয়। তার স্মৃতিচিহ্নের ওপর আক্রমণ পুরো বাঙালি জাতির ওপর আঘাত।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, এই হামলা শুধু ভবনের ওপর নয়, রবীন্দ্রচিন্তা ও সংস্কৃতির ওপর সংগঠিত পরিকল্পিত আঘাত। তৃণমূল সরকার এই ঘটনায় নিশ্চুপ থেকে হিন্দুবিরোধী মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে।
বিজেপির এক্স হ্যান্ডলে বলা হয়েছে, রবীন্দ্রনাথ, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর—আমাদের আত্মপরিচয়ের প্রতীক। বাংলাদেশে ঠাকুর পরিবারের স্মৃতিচিহ্ন ধ্বংস হচ্ছে নীরবে, আর পশ্চিমবঙ্গেও একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে ।
দিল্লিতেও একইদিন বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে তিন মূর্তি চক থেকে বাংলাদেশ হাইকমিশনের দিকে একটি প্রতিবাদ মিছিল করে দিল্লি বিজেপি। রাজ্য সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবা বলেন, এটি শুধু একটি সংস্কৃতি বা ঐতিহ্যের ওপর আঘাত নয়, এটি নৈতিকতারও ওপর হামলা। বিশ্বের বিবেকবান মানুষদের এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
বিজেপি দাবি করেছে, শাহজাদপুরে রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়িতে হামলার সময় জানালার কাচ ভাঙা হয়েছে, দেয়ালে অবমাননাকর স্লোগান লেখা হয়েছে এবং এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।