X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাখমুতের সিটি হলে রুশ পতাকা হাতে ওয়াগনার প্রধান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৩ এপ্রিল ২০২৩, ১৪:১৩আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০২৩, ১৭:২৪

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর বাখমুত দখলের দাবি করেছে রাশিয়ার সশস্ত্র ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনার। সেখানে তুমুল লড়াইয়ের কথাও বর্ণনা করেছেন গোষ্ঠীটির প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, রাতে তিনি বাখমুতের সিটি হলে রাশিয়ার পতাকা উত্তোলন করেছেন। সোমবার (৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

তিনি বলেন, শহরটি দখল নিতে কয়েক মাস ধরে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে রাশিয়া। শহরটি ঘেরাও করেছে রুশ বাহিনী। 'আইনি অর্থে' বাখমুত রাশিয়ার।

প্রিগোজিন তার টেলিগ্রামে অ্যাকাউন্টে এক অডিও বার্তায় আরও বলেন, কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে বাখমুত নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে। শত্রুদের বাখমুতের পশ্চিম দিকে এক জায়গায় ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তবে বাখমুত নিয়ন্ত্রণে ওয়াগনারের দাবির প্রসঙ্গে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের কোনও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

রাশিয়া বাখমুতে হামলা চালানোর আগে শহরটি থেকে ৭০ হাজার ইউক্রেনীয় ছেড়ে চলে গেছে। গত মাসেও বাখমুতের একাংশ নিয়ন্ত্রণের দাবি করেছিল ওয়াগনার।

ইয়েভজেনি প্রিগোজিনর ভিডিও প্রকাশের পর সোমবার (৩ এপ্রিল) ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেন, শত্রুপক্ষের সেনারা শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাদের ২০টিরও অধিক হামলা প্রতিহত করা হয়েছে।

বাখমুত নিয়ন্ত্রণে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা। ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (২ এপ্রিল) রবিবার রাতে ভিডিও ভাষণে বাখমুত নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য নিজ সেনাদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আমাদের সেনাদের ধন্যবাদ যারা আভিভকা, মেরিঙ্কা ও বাখমুতে লড়াই করছে। বিশেষ করে বাখমুত। সেখানকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত।

রুশ বাহিনী বাখমুতের বেসামরিক লোকদের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন জেলেনস্কি। এর আগে ইউক্রেনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হান্না মালিয়ার বাখমুতের চারপাশের পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত বলে বর্ণনা করেন।

শহরটি যেকোনও উপায়ে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পাল্টা লড়াই অব্যাহত রেখেছে বলে জানায় ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর কমান্ডাররা।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরুর দিকে এটিকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ উল্লেখ করে পুতিন বলেছিলেন, এর একটি প্রধান লক্ষ্য হলো ডনবাস অঞ্চলকে ‘মুক্ত করা’। দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলটিতে রুশ ভাষাভাষী মানুষের বসবাস রয়েছে।

/এলকে/
সম্পর্কিত
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
জিম্মিদের মুক্তির জন্য হামাসকে ১৮ দেশের আহ্বান
সর্বশেষ খবর
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা