আবারও বড় বিক্ষোভের মুখে পড়তে যাচ্ছে ফ্রান্স। এবার পুলিশের গুলিতে এক কিশোরের নিহতের ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠেছে ইউরোপের দেশটি। এ ঘটনা পুরো জাতিকে নাড়িয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এর আগে পেনশন ভাতা নিয়ে বিক্ষোভে টালমাটাল হয়েছিল ফ্রান্স।
রাজধানী প্যারিসের শহরতলী নান্টেরেতে একজন পুলিশ কর্মকর্তার গুলিতে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর নিহত হলে মঙ্গলবার রাতভর বিক্ষোভকারী এবং পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ বলছে, কিশোরের নাম নেইল এম। তাকে গাড়ি থামানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সে তা অমান্য করায় গুলি করতে তারা বাধ্য হয়েছে।
প্রসিকিউটররা জানান, কিশোর এক ভাড়া করা গাড়ি চালাচ্ছিল। পুলিশ তার বিরুদ্ধে একাধিক ট্রাফিক আইন ভঙ্গের অভিযোগ এনেছে।
সোশাল মিডিয়ায় প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, দুই পুলিশ অফিসার গাড়ি থামানোর চেষ্টা করছেন। একজন তার অস্ত্রটি জানালা দিয়ে চালকের দিকে তাক করছেন। এ সময় কিশোরটি গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিল। তখন কাছ থেকে পুলিশ গুলি করে।
জরুরি পরিষেবাগুলো ঘটনাস্থলে কিশোরটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই সে মারা যায়।
এর পর পর পুলিশ সদর দফতরের বাইরে বিক্ষোভ শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। অনেকে রাস্তায় থাকা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে বাধে সংঘর্ষ। এ সময় আহত হন কয়েকজন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বুধবার বলেন, ‘পুলিশের গুলির বিষয়টি অবর্ণনীয় এবং অমার্জনীয়।’
তিনি বলেন, ‘এক কিশোর নিহত হয়েছে। এটি অবর্ণনীয় এবং ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। ঘটনাটি পুরো জাতিকে নাড়িয়ে দিয়েছে।’
সূত্র: আল জাজিরা