রাশিয়ার দখলকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের একটি জ্বালানি ডিপোতে ড্রোন হামলায় বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটেছে। সেখান থেকে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা স্বার্থে সাময়িক সময়ের জন্য ক্রিমিয়া সেতু বন্ধ করে দিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ। কোনও প্রমাণ না দেখিয়ে এমন দাবি করেছেন ক্রিমিয়ায় নিযুক্ত রুশপন্থি গভর্নর সের্গেই আকসিওনভ।
তিনি জানিয়েছেন, জ্বালানি ডিপোতে বিস্ফোরণের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা বাসিন্দাদের অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কার্চ সেতুতে রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এর আগে শনিবার সকালের দিকে রুশ কর্তৃপক্ষ সেতুতে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে আবারও খুলে দেওয়া হয়। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গাড়ি চলাচল আবারও বন্ধের কথা জানান গভর্নর।
গভর্নর সের্গেই আকসিওনভ টেলিগ্রামে পোস্টে দাবি করেছেন, ক্রিমিয়ার ক্রাসনোগভার্দেয়স্কি জেলার অবকাঠামো হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বিবিসি।
কয়েকদিন আগেই ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণের ঘটনায় দুইজন নিহত হন। সেতুর একটা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ বিষয়ে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হুমকি দিয়ে বলেছেন, ক্রিমিয়ার সেতুটি ইউক্রেনের বৈধ লক্ষ্য।
শুক্রবার দেওয়া ভাষণে বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধরত রুশ সেনাদের সহায়তায় সেতুটি গোলাবারুদ সরবরাহের কাজে ব্যবহার করছে মস্কো।
২০১৪ সালে ক্রিমিয়া জোর করে দখলে নেয় রুশ বাহিনী। এই দীর্ঘ সেতু দিয়ে রাশিয়া থেকে ক্রিমিয়ায় সহজেই যাতায়াত করা যায়। ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি বিশ্বের অনেক দেশ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর ক্রিমিয়াকে যেকোনও মূল্যে কিয়েভের অংশ করে নেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন জেলেনস্কি।
সূত্র: বিবিসি