পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর অন্যতম শক্তিধর রাষ্ট্র পোল্যান্ড সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে রাশিয়ার সশস্ত্র ভাড়াটে ওয়াগনারের শতাধিক যোদ্ধা। তাদের গতিবিধির কথা জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পোলিশ প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাউইকি। যোদ্ধারা অভিবাসী ছদ্মবেশে পোল্যান্ডে প্রবেশ করতে পারে বলেও শঙ্কা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী মাতেউস শনিবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আছে ওয়াগনারের একশর’ বেশি ভাড়াটে যোদ্ধা বেলারুশের গ্রোডনো থেকে সুওয়ালকির দিকে অগ্রসর হয়েছে।’
গ্রোডনো বেলারুশের পশ্চিমে দিকে অবস্থিত। যা ন্যাটোর পোল্যান্ড ও লিথুনিয়া সীমান্ত থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে। ন্যাটোর পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যও পোল্যান্ড। রুশ মিত্র বেলারুশ ও ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বিগ্ন দেশটির সরকার।
নিরাপত্তা সংকট তখনই বেড়েছে যখন ওয়াগনারের হাজার হাজার যোদ্ধা বেলারুশে অবস্থান নিয়েছে। গত জুনে রাশিয়ার সামরিক নেতাদের উৎখাতের ঘোষণা দিয়ে স্বল্প সময়ের জন্য বিদ্রোহ ঘটায় ওয়াগনার। পরবর্তীতে বেলারুশের প্রেসিডেন্টের মধ্যস্থতায় চুক্তি অনুযায়ী তার দেশে আশ্রয়ে যায় বাহিনীটি। সেসময় থেকেই নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আসছে ওয়ারস।
পোলিশ সরকারের অভিযোগ, শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ব্যবহার করে পোল্যান্ড ও ইইউ’র দেশগুলোতে অস্থিরতা তৈরির প্রয়াস চালাচ্ছে রাশিয়া-বেলারুশ। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটি অভিবাসনকে হাইব্রিড যুদ্ধ আখ্যায়িত করে থাকে। এই কারণে বেলারুশ সীমান্তে উচু প্রাচীর নির্মাণও করেছে।
পোলিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই বছরে এখন পর্যন্ত বেলারুশ থেকে ১৬ হাজার বার সীমান্ত পাড়িয়ে দিয়ে পোল্যান্ডে ঢোকার চেষ্টা চালিয়েছে অভিবাসীরা। মিনস্ক সরকার তাদের পোল্যান্ডে ঠেলে দিতে চেয়েছে বার বার।
পরিস্থিতি এখন বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে জানিয়ে মাতেউস বলেন, তারা (ওয়াগনার সেনা) সম্ভবত বেলারুশ সীমান্তরক্ষীদের ছদ্মবেশে থাকবে এবং অবৈধ অভিবাসীদের পোলিশ ভূখণ্ডে প্রবেশ করানোর পাশাপাশি পোল্যান্ডকে অস্থিতিশীল করতে সহায়তা করবে। তারা অভিবাসী সেজে পোল্যান্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাতে পারে। যা অতিরিক্ত ঝুঁকি তৈরি করবে।’
সূত্র: আল জাজিরা, সিএনএন