ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের যুদ্ধ পরিস্থিতি এখন ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শুক্রবার (২৪ মে) রাতের নিয়মিত ভিডিও ভাষণে এমন দাবি করছেন ইউক্রনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ওই এলাকা দিয়ে চলতি মাসের শুরুতে খারকিভে অনুপ্রবেশ করেছিল রুশ সেনারা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
চলতি মাসে রুশ সেনারা খারকিভ অঞ্চলের উত্তরের যে সব এলাকায় অনুপ্রবেশ করেছিল সেখানকার ‘যুদ্ধ পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে’ নিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এ বিষয়ে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমাদের সেনারা এখন সীমান্ত এলাকায় যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে যেখানে রুশ দখলদাররা অনুপ্রবেশ করেছিল।’
শহর খারকিভে সামরিক ও আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠকের পর এমন দাবি করেন জেলেনস্কি। তবে তার এই দাবি রুশ কর্মকর্তাদের মন্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
কেননা, রুশ পার্লামেন্ট স্টেট ডুমার নিম্নকক্ষের সদস্য ভিক্টর ভোদোলাতস্কির বরাত দিয়ে রুশ বার্তা সংস্থা তাস নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, রুশ বাহিনী সীমান্তের অভ্যন্তরে ৫ কিলোমিটার (৩ মাইল)ভেতরের ভোভচানস্ক শহরের অর্ধেকেরও বেশি এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। ভোদোলাতস্কি বলেছেন, ভোভচানস্ক শহর একবার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসলে ইউক্রেনের পূর্ব ডোনেস্ক অঞ্চলের স্লোভিয়ানস্ক, ক্রামতোর্স্ক এবং পোকরভস্ক—এই তিন শহরকে লক্ষ্যবস্তু করবে রুশ বাহিনী।
উভয় পক্ষের দাবিগুলো স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।
চলীত মাসে ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলের সীমান্ত এলাকাগুলোতে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। সেখানকার প্রায় ১২টি বসতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
তবে এই এলাকাটিকে ‘স্থিতিশীল’ করার কথা জানিয়েছিলেন জেলেনস্কি এবং অন্যান্য ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি প্রতিবেদনে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর জেনারেল স্টাফ জানিয়েছেন, ভোভচানস্কের পরিস্থিতি কিছুটা ‘উত্তেজনাপূর্ণ’, তবে তা প্রতিরক্ষা বাহিনীর ‘নিয়ন্ত্রণে’ রয়েছে।