টানা তৃতীয় রাতের মতো ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চল লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে কয়েকটি অঞ্চলে ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। রবিবার রাতের এ হামলার মাত্র একদিন আগে ইউক্রেনজুড়ে সবচেয়ে বড় বিমান হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া, এতে অন্তত ১২ জন নিহত হন। ওই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান তিমুর তকাচেঙ্কো বলেছেন, শহরে ছয় ঘণ্টা ধরে চলেছে বিমান হামলার সতর্কতা। হামলার বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
কিয়েভ অঞ্চলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র মিলিয়ে যৌথ হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে সেখানকার সামরিক প্রশাসন। তিনটি জেলার বিভিন্ন স্থানে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
দক্ষিণাঞ্চলের ওডেসা এলাকায় রুশ ড্রোন হামলায় ব্যক্তিগত বসতবাড়িতে আগুন ধরে যায়। জরুরি সেবা বিভাগ জানিয়েছে, একটি ১০০ বর্গমিটার আয়তনের আবাসিক ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। আগুন পরে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
ওডেসার গভর্নর ওলেহ কিপার জানান, সেখানে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোর আহত হয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চলের খমেলনিৎসকি অঞ্চলেও ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর পাওয়া গেছে। গভর্নর জানান, ব্যক্তিগত বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের খারকিভ শহর ও আশপাশের এলাকায়ও রুশ হামলা হয়েছে। কিছু জেলায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার গভর্নর।
মধ্যাঞ্চলীয় চেরকাসি অঞ্চলের গভর্নর জানান, সেখানে রাতে ২৫টি রুশ ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে। তবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা আহতের খবর পাওয়া যায়নি।
রাশিয়া বলছে, তারা ইউক্রেনে একটি ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ পরিচালনা করছে। তবে ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলো এটিকে একটি সর্বাত্মক আগ্রাসন হিসেবে দেখছে।