করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ভারতজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন জারির জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিন সপ্তাহের লকডাউনকে কঠোর পদক্ষেপ বলেও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। রবিবার 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘আমি জানি এই লকডাউনের ফলে মানুষের অনেক সমস্যা-দুর্ভোগ হচ্ছে। সে জন্য আমি দেশবাসীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’ তবে কষ্ট হলেও লকডাউন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এখবর জানিয়েছে।
নরেন্দ্র মোদি জানান, করোনা মোকাবিলায় লকডাউনই একমাত্র পথ। ভারতজুড়েই দেখা যাচ্ছে কিছু মানুষ লকডাউন অগ্রাহ্য করছেন। দেশবাসীকে লকডাউন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে তিনি বলেন, ‘বেশ কিছু মানুষ নিয়ম ভেঙে সমাজের ক্ষতি করছেন। লকডাউন ভাঙলে করোনা থেকে রক্ষা পাওয়া অসম্ভব মুশকিল।’
অনুষ্ঠানে মারণ ভাইরাস থেকে বেঁচে ফেরা সুস্থ বেশ কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলেন মোদি। রামাগামাপা তেজা নামের সুস্থ হওয়া ব্যক্তি মোদিকে জানান, প্রথমদিকে তিনি ভীত ছিলেন। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সদের সহায়তায় মনের জোর বাড়িয়েছেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরও নিয়ম মেনে হাত পরিষ্কার করেন তিনি।
করোনার বিস্তার ঠেকাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষজন। মন কি বাত অনুষ্ঠানে দিল্লি ও পুনের দুই চিকিৎসকের সঙ্গেও কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তাদের কাছ থেকে শোনেন কীভাবে রোগীদের সেবা করছেন চিকিৎসকরা। তাদের উদ্দেশে মোদি বলেন, ‘চিকিৎসকদের আত্মত্যাগ আমাকে প্রাচীন হিন্দু প্রবাদ মনে করিয়ে দেয় বারবার। যেখানে বলে হয়েছে, ‘আর্থিক স্বার্থ ব্যতীত রোগীদের সেবা যেসব চিকিৎসক করেন তারাই হলেন প্রকৃত ডাক্তার।’