বয়স ৬০ এর কোঠায়। ৪৮ বছরের মধ্যে ভারতের সাতটি রাজ্যের ১৪ নারীকে বিয়ে করেছেন। পালিয়ে যাওয়ার আগে এসব নারীদের কাছ থেকে অর্থও নিয়েছেন। আর এসব অভিযোগে সোমবার ওই ব্যক্তিকে ভুবনেশ্বর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
উড়িষ্যার কেন্দারাপারা জেলার পাতকুরা থানার একটি গ্রামের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি। অভিযুক্ত এই ব্যক্তি প্রথম বিয়ে করেন ১৯৮২ সালে। দ্বিতীয় বিয়ে করেন ২০০২ সালে। এই দুই স্ত্রীর সঙ্গে তার পাঁচ সন্তান রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুবনেশ্বরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার উমাশঙ্কর দাশ। তিনি জানান, ২০০২ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অন্য নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন ওই ব্যক্তি। পরে অন্য স্ত্রীদের অজ্ঞাতে তাদের বিয়ে করেন।
সর্বশেষ স্ত্রীকে নিয়ে উড়িষ্যার রাজধানীতে বাস করে আসছিলেন ওই ব্যক্তি। তার সবশেষ স্ত্রী ছিলেন দিল্লির এক স্কুলের শিক্ষক। এই নারী ওই ব্যক্তির আগের বিয়ের কথা জেনে যান এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
পরে ওই ব্যক্তিকে তার ভাড়া বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। ভুবনেশ্বরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার উমাশঙ্কর দাশ জানান, ওই ব্যক্তি মূলত মধ্য বয়সী একাকি নারীকে লক্ষ্যবস্তু বানাতেন। বিশেষ করে মাট্রিমোনিয়াল ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেওয়া ডিভোর্সি নারীদের টার্গেট করতেন তিনি। পরে তাদের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে তাদের ছেড়ে যেতেন অভিযুক্ত ব্যক্তি।
উমাশঙ্কর দাশ জানান ওই ব্যক্তি নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে আইনজীবী, চিকিৎসক এবং উচ্চ-শিক্ষিত নারীদের বিয়ে করতেন। তার শিকারে পরিণত হওয়াদের মধ্যে আধা-সামরিক বাহিনীতে কর্মরত এক নারীও ছিলেন।
ওই ব্যক্তি সাতটি রাজ্যের নারীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। এর মধ্যে দিল্লি, পাঞ্জাব, আসাম, ঝাড়খন্ড এবং উড়িষ্যা রয়েছে। তার প্রথম দুই স্ত্রী উড়িষ্যার বাসিন্দা ছিলেন।
এর আগেও দুইবার গ্রেফতার হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। বেকার তরুণদের প্রতারিত করা এবং ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে হায়দ্রাবাদ এবং এরনাকুলামে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি।
সূত্র: এনডিটিভি