সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে এক বাংলাদেশি প্রবাসীকে ঘরে বন্দি করে নির্যাতন, মারধর ও মৃত্যুর হুমকির অভিযোগে তিন ভারতীয় নাগরিককে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। বাংলাদেশি প্রবাসীর এক আত্মীয়ের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ তুলে অর্থ ফেরত চেয়ে এ নির্যাতন করা হয়। বৃহস্পতিবার গালফ নিউজে প্রকাশিত খবরে এ বিষয়টি জানা গেছে।
জানা গেছে, ভারতীয় মালিকের দোকানে কাজ করতেন নির্যাতিত বাংলাদেশি। ওই দোকানে তাকে ৪ দিন আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। ভারতীয় দোকান মালিক আরও দুই বিক্রয় কর্মী বাংলাদেশিকে মারধর করেন। তাদের অভিযোগ, গত নভেম্বরে বাংলাদেশির আত্মীয় ৫২ হাজার দিরহাম দোকান থেকে চুরি করেছেন। তারা এ টাকা ফেরত চান। না দিলে তাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেন।
এ ঘটনায় দুবাইয়ের একটি আদালত নির্যাতিত বাংলাদেশির স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ও বন্দি করে রাখার অভিযোগে তিন ভারতীয়কে কারাদণ্ড দিয়েছেন। তবে ভারতীয়রা তাকে রুমে বন্দি করে রাখার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
নির্যাতিত বাংলাদেশি বলেন, তিনি (দোকান মালিক) আমার আত্মীয় সম্পর্কে জানতে চান। ওই আত্মীয় একই মালিকের আরেকটি দোকানে কাজ করতেন। যখন আমি তাদের জানাই যে, আত্মীয় কোথায় আছে সে সম্পর্কে আমি কিছু জানি না, তখন আমাকে মরধর করা হয়। তারা আমাকে একটি রুমে তালা দিয়ে রাখেন। তারা আমাকে বলেন, আমার আত্মীয় নাকি ৫২ হাজার দিরহাম চুরি করেছেন। আমাকে হুমকি দেওয়া হয়, যদি আমি চুরি হওয়া টাকা ফেরত না দেই তাহলে মেরে ফেলা হবে। চারদিন বন্দি থাকা অবস্থায় আমাকে মারধর করা হয়েছে। চারদিন পর তিনজন আমাকে জোর করে একটি গাড়িতে তুলে আল-আইন এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে আত্মীয়কে না পেয়ে আমাকে কাঠের টুকরা দিয়ে পেটানো হয়। এ সময় আমি এক ব্যক্তিকে আসতে বলি।
বাংলাদেশি আরও বলেন, ওই ব্যক্তি আসলে ভারতীয়রা গাড়ি থেকে নেমে তার সঙ্গে দেখা করতে যান। এ সময় আমি পালিয়ে যাই।
আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় ওই ব্যক্তি জানান, তিনি চুরি হওয়া দিরহাম ফেরত দেওয়ার কথা বললে ভারতীয়রা হাসপাতালের বাইরে তার সঙ্গে দেখা করতে রাজি হন। তিনি বলেন, আমি বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পুলিশকে ভারতীয়দের গাড়ির বিবরণ দেই। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: ফেসবুক লাইভে যা বললেন মেয়র আনিসুল হক
/এএ/এপিএইচ/