X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ইরানে সোনা মজুতকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর, অ্যামনেস্টির নিন্দা

বিদেশ ডেস্ক
১৫ নভেম্বর ২০১৮, ২৩:০৫আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:২৪
image

গত বুধবার (১৪ নভেম্বর) ইরান ‘সোনার সুলতান’ নামে আখ্যায়িত একজন মজুতকারী ও তার সহযোগীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। ইরানের অভিযোগ, ওই ব্যক্তি মজুত করার মাধ্যমে সোনার বাজারের অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছিল। এতে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হারের ওপর প্রভাব পড়তে পারত। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা মিডিল ইস্ট মনিটর জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি দুই টন সোনা মজুত করে রেখেছিল। এদিকে হত্যার ঘটনা ঘটেনি এমন অপরাধে একজন ‘ব্যবসায়ীকে’ মৃত্যুদণ্ডের মতো শাস্তি দেওয়ার নিন্দা জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

ইরানে সোনা মজুতকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর, অ্যামনেস্টির নিন্দা

গত জুলাই মাসে পুলিশ অভিযুক্ত ওয়াহিদ মাজলৌমিনকে গ্রেফতার করেছিল। মাজলৌমিন আড়াই লাখ স্বর্ণ মুদ্রা মজুত করেছিল। এগুলো সে সংগ্রহ করেছিল প্রায় ১০ মাস ধরে। ৫৮ বছর বয়সী মাজলৌমিনের সঙ্গে তার সহযোগী ইসমাইল কাসেমির মৃত্যুদণ্ডও কার্যকর করা হয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত সংবাদে বলা হয়েছে, দুর্নীতির প্রসার ঘটানো, দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করা ও আইনভঙ্গের দায়ে  আদালত অভিযুক্তদের সাজা দেয়। ইরানের সুপ্রিম কোর্টে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পক্ষে মত দেওয়া হয় গত ২১ অক্টোবর।

এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদ পর্যবেক্ষণকারী যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা মিডিল ইস্ট আই জানিয়েছে, মাজলৌমিন ও তার সহযোগীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রেক্ষিতে নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটি মনে করে, যে বিচারের মধ্য দিয়ে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে সেই বিচারটিই লোক দেখানো। সোনা মজুতের মতো অভিযোগে একজন ‘ব্যবসায়ীকে’ মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যায় না। হত্যার ঘটনা ঘটেনি এমন অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের মতো শাস্তি দেওয়াটা আন্তর্জাতিক আইনের খেলাপ।

 

/এএমএ/
সম্পর্কিত
ইসরায়েলের আকরে শহরে হামলার দাবি করলো হিজবুল্লাহ
গাজার হাসপাতালে গণকবর, আতঙ্কিত জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৫ অভিবাসী নিহত
সর্বশেষ খবর
শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে আছিম বাসে আগুন দেয় ছাত্রদলের নেতারা: সিটিটিসি
শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে আছিম বাসে আগুন দেয় ছাত্রদলের নেতারা: সিটিটিসি
গবেষণার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
গবেষণার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
পুণ্যস্নানে হাজারো ভক্তের ভিড়, জমজমাট লোকজ উৎসব
পুণ্যস্নানে হাজারো ভক্তের ভিড়, জমজমাট লোকজ উৎসব
বউ-শাশুড়ির ঝগড়া থামাতে গিয়ে প্রাণ গেলো একজনের
বউ-শাশুড়ির ঝগড়া থামাতে গিয়ে প্রাণ গেলো একজনের
সর্বাধিক পঠিত
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
তাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
প্রাক-প্রাথমিক বন্ধই থাকছেতাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস