রাশিয়ার কাছ থেকে অত্যাধুনিক এসইউ-৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার জন্য একটি চুক্তি করেছে ইরান। শনিবার ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে ইরান নির্মিত ড্রোন ব্যবহার করে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, এই চুক্তির মধ্য দিয়ে তা আরও বিস্তৃত হলো। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম আইআরআইবি জাতিসংঘের ইরান মিশনকে উদ্ধৃত করে বলেছে, সুখই-৩৫ যুদ্ধবিমান কারিগরিগত দিক দিয়ে ইরানের জন্য উপযুক্ত এবং এগুলো কেনার জন্য একটি চুক্তি চূড়ান্ত করেছে।
চুক্তির বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে নিশ্চিত করার কোনও তথ্য আইআরআইবি’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। এমনকি চুক্তির বিস্তারিত কিছুও তুলে ধরা হয়নি।
মিশন বলেছে, অজ্ঞাত একাধিক দেশ থেকে যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে ইরান।
গত বছর জুলাই মাসে তেহরানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সঙ্গে বৈঠক করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ওই বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে পশ্চিমা চাপের মুখে নিজেদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন দুই নেতা।
রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহের কথা স্বীকার করেছে ইরান। তবে দেশটি বলেছে, গত বছর ইউক্রেনে রুশ আক্রমণ শুরু হওয়ার আগেই এগুলো সরবরাহ করা হয়েছিল। ইউক্রেনে ইরান নির্মিত ড্রোন ব্যবহারের কথা অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া। যদিও ইউক্রেন ও পশ্চিমারা দাবি করে আসছে, একাধিক ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। যেগুলো দিয়ে রাশিয়া হামলা করছিল।
ইরানের বিমানবাহিনীর মাত্র কয়েকডজন যুদ্ধবিমান রয়েছে, যেগুলো আক্রমণে ব্যবহার করা সম্ভব। এসব যুদ্ধবিমানের মধ্যে রয়েছে রাশিয়া নির্মিত কয়েকটি। রয়েছে ১৯৭৯ সালের ইরানি বিপ্লবের আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কেনা কিছু পুরনো যুদ্ধবিমান।
২০১৮ সালে ইরান ঘোষণা দেয় দেশটি কওসর নামে যুদ্ধবিমান তৈরি করবে নিজেদের বিমানবাহিনীর জন্য। কয়েকজন সামরিক বিশেষজ্ঞের ধারণা, এই যুদ্ধবিমান মার্কিন এফ-৫ এর অবিকল সংস্করণ হতে পারে। এসব যুদ্ধবিমান ১৯৬০ এর দশকে উৎপাদন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।