X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

ইসরায়েলি পার্লামেন্টে ঢুকে বিক্ষোভ করলো জিম্মিদের স্বজনরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:১০আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:০৭

ইসরায়েলি পার্লামেন্টে ঢুকে বিক্ষোভ করেছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হাতে জিম্মি হওয়া ইসরায়েলিদের স্বজনরা। স্থানীয় সময় সোমবার (২২ জানুয়ারি) জেরুজালেমে পার্লামেন্ট কমিটির অধিবেশনে প্রায় ২০ জন এই হামলা চালিয়েছেন। প্রিয়জনদের মুক্ত করতে আইনপ্রণেতাদের আরও বেশি চেষ্টা করার দাবিতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন তারা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের চতুর্থতম মাসে ইসরায়েলি পার্লামেন্টে এ ধরণের হামলা দেশটিতে ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ ভিন্নমতেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

পরিবারের তিন সদস্যের ছবি হাতে নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন এক নারী। ৭ অক্টোবর হামাসের হাতে জিম্মি হওয়া ২৫৩ জনের মধ্যে তার ওই তিন স্বজনও ছিলেন।

নভেম্বরের যুদ্ধবিরতিতে বেশ কয়েকজন জিম্মিকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হলেও এখনও হামাসের হাতে জিম্মি রয়েছেন প্রায় ১৩০ জন।

নেসেট ফাইন্যান্স কমিটির আলোচনায় ওই নারী প্রতিবাদী কেঁদে বলেছিলেন, ‘তিনজনের মধ্যে আমি শুধু একজনকে হলেও জীবিত ফিরে পেতে চাই। শুধু একজনকে!’

কালো টি-শার্ট পরা অন্য বিক্ষোভকারীরা প্লেকার্ড হাতে প্রতিবাদ করেছিল। সেগুলোতে লিখা ছিল, ‘তারা সেখানে মারা গেলে আপনি এখানে বসবেন না।’ এসময় তারা ‘এখন, এখন, এখনই তাদের ছেড়ে দাও!’ বলে স্লোগান দিয়েছিল।

আরও একটি বন্দি বিনিময়ের মধ্যস্থতা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিসর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে তাদের সে প্রচেষ্টায় কোনও কাজ হচ্ছে না। হামাসকে ধ্বংস করার জন্য যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ইসরায়েল নিয়েছে এবং যেসব শর্ত হামাসের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে সেগুলো থেকে এক চুলও নড়তে রাজি নয় কোনও পক্ষ।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, হামাসকে ধ্বংস না করা পর্যন্ত কোনও প্রকার যুদ্ধবিরতি হবে না। এদিকে, হামাস সাফ জানিয়েছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হলে কোনও প্রকার আলোচনায় বসতে রাজি নয় তারা। দুপক্ষের দাবির মুখে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে জিম্মিদের প্রাণ। একইসঙ্গে স্বজন হারানোর আতঙ্কে দিন গুণছেন তাদের পরিবার।

ইসরায়েল বলছে, জিম্মিদের মধ্যে ২৭ জন গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের মৃত্যু দেশটিকে বিভ্রান্ত করেছে। তবে স্বজনদের আশঙ্কা, যুদ্ধের দামাম জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার বিষয়টি ক্রমাগতভাবে ভুলিয়ে দেবে। প্রাথমিকভাবে যে বিক্ষোভগুলো জাতীয় ঐক্যকে আরও মজবুত করেছিল বর্তমানে সেগুলো আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে।

জিম্মিদের পরিবার এবং তাদের সমর্থকরা উপকূলীয় অঞ্চলে নেতানিয়াহুর বাড়ির পাশাপাশি নেসেট ভবনের বাইরেও বিক্ষোভ করতে শুরু করেছে।

এলি স্টিভির ছেলে ইদান গাজায় জিম্মি রয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘জিম্মিরা ফিরে না আসা পর্যন্ত আমরা তাকে ছাড়ব না ‘

জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে ইসরায়েলে সপ্তাহান্তে নিয়মিত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তাদের এ সমাবেশ শক্তিশালী বিক্ষোভের দিকে ধাবিত হয়েছে। নির্বাচনের আগেই এটি কঠোর ডানপন্থী সরকারের পতন ঘটাতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে।

২০২৩ সালে দেশটিতে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা সরকার বিরোধী বিক্ষোভ গত ৭ অক্টোবরে হামাসের হামলার জেরে বন্ধ হয়ে যায়। এসময় নিহত বা জিম্মিদের পরিবারের সমর্থনে বিক্ষোভ সমাবেশের কারণে একপাশে সরে আসে দেশটির রাজনৈতিক ফাটলগুলো।

তবে বিধ্বংসী এ যুদ্ধ চতুর্থ মাসে গড়ালে এবং জনমত জরিপে নেতানিয়াহুর পিছিয়ে থাকা দেশটির নেতৃত্ব পরিবর্তনের আহ্বানকে আরও জোরদার করেছে।

শনিবার রাতে, তেল আবিব, হাইফা এবং জেরুজালেমে বিক্ষোভ করেছিল হাজার হাজার মানুষ।

/এএকে/
সম্পর্কিত
বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ নিয়ে মুখ খুললেন বাইডেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি: মিসর ও কাতারের সঙ্গে হামাসের আলোচনা
ভারতের ভোটে বিজেপির পক্ষে কি ‘৪০০ পেরোনো’ আদৌ সম্ভব?  
সর্বশেষ খবর
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা
টিভিতে আজকের খেলা (৩ মে, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (৩ মে, ২০২৪)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও মোটরসাইকেল নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও মোটরসাইকেল নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
অপহৃত ১০ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে আরাকান আর্মি
অপহৃত ১০ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে আরাকান আর্মি
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে