জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে আবারও ট্যাংক পাঠালো ইসরায়েল। শনিবার রাতভর বোমা হামলার পর রবিবার (১২ মে) ভোরে সেখানে ট্যাংক পাঠিয়েছে দেশটি। গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবারের ওই হামলায় ১৯জন নিহত এবং আরও কয়েক ডজন আহত হয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
গাজার আটটি ঐতিহাসিক শরণার্থী শিবিরের মধ্যে সবচেয়ে বড় শিবির জাবালিয়া। সেখানে ১ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিন আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের অধিকাংশই ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় তাদের ইসরায়েলের শহর ও গ্রাম থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন।
শনিবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, জাবালিয়ায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসকে তাদের সামরিক সক্ষমতা পুনরায় প্রতিষ্ঠা করায় বাধা দিচ্ছে সেনারা।
একটি সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, ‘গত সপ্তাহগুলোতে আমরা জাবালিয়ায় হামাসের সামরিক সক্ষমতা পুনর্বাসনের প্রচেষ্টা শনাক্ত করেছি। সেই প্রচেষ্টাকে নির্মূলে সেখানে কাজ করছি আমরা।’
গাজা শহরের জেইতুন জেলায় অভিযান চালিয়ে ইসরায়েলি বাহিনী প্রায় ৩০ ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যা করেছে বলেও জানান হাগারি।
জাবালিয়ার একজন বাসিন্দা ৪৫ বছর বয়সী সায়েদ। একটি চ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে রয়টার্সকে তিনি বলেছেন, ‘গতকাল থেকে আকাশ ও স্থলপথে বোমাবর্ষণ বন্ধ হয়নি। সবখানেই বোমাবর্ষণ করছিল তারা। এর মধ্যে, বিদ্যালয়ের কাছাকাছি থাকা বেসামরিক আবাসস্থলও ছিল। হামলায় ঘরবাড়ি হারিয়েছেন তারা।’
তিনি বলেছেন, ‘যুদ্ধ পুনরায় শুরু হচ্ছে। জাবালিয়ার পরিস্থিতি দেখে এমনই মনে হচ্ছে।’
ইসরায়েলি সেনাদের নতুন অনুপ্রবেশের কারণে অনেক পরিবারই অন্যত্র সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গাজা শহরের পূর্বাঞ্চলীয় উপশহর আল-জেইতুন, একইসঙ্গে আল-সাবরাতে আবারও ট্যাংক পাঠিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। সেখানকার বাসিন্দারা ভারী বোমা হামলার খবর দিয়েছেন। হামলায় অনেক বহুতল আবাসিক ভবনসহ বেশ কয়েকটি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
কয়েক মাস আগে, এসব এলাকার বেশিরভাগের নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার দাবি করেছিল সেনাবাহিনী।