গাজা উপত্যকার দুটি ঐতিহাসিক শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (১৮ জুন) আল-নুসিরাত ও আল-বুরেজ শরণার্থী শিবিরে দুটি বাড়িতে দুটি পৃথক হামলায় নিহত হন তারা। এদিন ইসরায়েলি ট্যাংকগুলো দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরেও হামলা চালিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক বিবৃতি ১৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার বিষয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে মধ্য গাজায় সশস্ত্র দলগুলোর বিরুদ্ধে ইসরায়েলি অভিযান অব্যাহত থাকার কথা জানানো হয়েছে।
রাফাহ শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় ট্যাংক ও বিমান থেকে ভারী বোমাবর্ষণের কথা জানিয়েছেন বাসিন্দারা। সেখানে মে মাসের আগে দশ লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। ইসরায়েলি বাহিনী শহরটিতে নতুন করে হামলা শুরু করার পর উত্তর গাজায় পালিয়ে গেছেন অধিকাংশ মানুষ।
রাফাহ শহরের এক বাসিন্দা একটি চ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে রয়টার্সকে বলেছেন, ‘বিশ্বের কোনও হস্তক্ষেপ ছাড়াই রাফাহ শহরে বোমা হামলা হচ্ছে। দখলদার এখানে অবাধে তাদের কাজ করছে।’
রাফাহ শহরের পশ্চিমে তেল আল-সুলতান, আল-ইজবা ও জুরুব এলাকায় এবং একইসঙ্গে শহরের কেন্দ্রস্থলে শাবোরার ভেতরে ইসরায়েলি ট্যাংকগুলো হামলা চালিয়েছে। পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা ও উপকণ্ঠের পাশাপাশি মিসরের সীমান্ত ও গুরুত্বপূর্ণ রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দখল অব্যাহত রেখেছে সেনারা।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ওইদিনই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় হামাসের হাতে এক হাজর ২০০ ইসরায়েলি নিহত হন। এসময় সশস্ত্র যোদ্ধারা আরও প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরায়েলের হাতে গাজায় এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।