ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান সংঘর্ষে শান্তি আনার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে মধ্যস্থতার আহ্বান জানিয়ে চিঠি লিখেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। বুধবার (২৫ জুন) পাঠানো চিঠিতে তিনি এ অঞ্চলে শান্তি নিশ্চিত করতে কাজ করতে ফিলিস্তিনের প্রস্তুতির কথা জানান। ভারতের সংবাদমাধ্যম ডব্লিউআইওএন এ খবর জানিয়েছে।
এই চিঠি ট্রাম্পের নেদারল্যান্ডস সফর শেষ করার সময় এসেছে। সেখানে তিনি ন্যাটো সম্মেলনে অংশ নিচ্ছিলেন। দ্য হেগ-এ তিনি আবারও দাবি করেন, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধ তিনি শেষ করেছেন। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্ভাব্য পারমাণবিক যুদ্ধও তিনিই ঠেকিয়েছেন।
চিঠিতে আব্বাস লেখেন, ‘এটি আমাদের, ইসরায়েলিদের এবং পুরো বিশ্বের মধ্যে ন্যায়সঙ্গত ও বিস্তৃত শান্তি অর্জনের লক্ষ্যে আপনার (ট্রাম্প) গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টার একটি অতিরিক্ত পদক্ষেপ।’
তিনি আরও বলেন, ‘ট্রাম্পের সঙ্গে এবং সংশ্লিষ্ট আরব ও আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে এবং একটি নির্দিষ্ট ও বাধ্যতামূলক সময়সীমার মধ্যে দখলদারিত্বের অবসান ঘটিয়ে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি বিস্তৃত শান্তিচুক্তি ত্বরিতভাবে আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবায়নে আমাদের পূর্ণ প্রস্তুতি পুনরায় ব্যক্ত করেছি।’
তিনি তার চিঠি শেষ করেছেন এই বলে যে, ‘আপনার সঙ্গে আমরা এমন কিছু অর্জন করতে পারি যা আগে অসম্ভব মনে হতো: একটি স্বীকৃত, স্বাধীন, সার্বভৌম ও নিরাপদ ফিলিস্তিন; একটি স্বীকৃত ও নিরাপদ ইসরায়েল; এবং একটি শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ ও সংহত অঞ্চল।’
দ্য হেগ-এ ট্রাম্প বলেন, কেবল কয়েকটি বাণিজ্য বিষয় নিয়ে ফোনালাপই যথেষ্ট ছিল দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আনতে। নেদারল্যান্ডসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, যদি তোমরা একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাও, তবে আমরা কোনও বাণিজ্য চুক্তি করব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি তাদের বুঝিয়ে বলি, যদি তোমরা যুদ্ধ করো, আমরা কোনও বাণিজ্য চুক্তিতে যাব না। তখন তারা বলে, না, আমরা বাণিজ্য চুক্তি চাই।’
অবশ্য ভারত বারবার বলেছে, ১০ মে ডিরেক্টর জেনারেলস অব মিলিটারি অপারেশন্সের মধ্যে টেলিফোন আলাপেই সীমান্তবর্তী গোলাগুলি বন্ধ হয়।