উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জন-উন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, অন্য কোনও পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশের আক্রমণের শিকার হওয়ার আগে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না তার দেশ। পাশাপাশি দ. কোরিয়াসহ উত্তর কোরিয়ার প্রতি শত্রুভাবাপন্ন দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আগ্রহও প্রকাশ করেছেন তিনি।
শনিবার দেশটির ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির (ডব্লিউপিকে) কংগ্রেসের দ্বিতীয় দিনের ভাষণে কিম এসব কথা বলেন। রবিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ খবরটি নিশ্চিত করে।
কিম বলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্রধারী দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে, আমাদের প্রজাতন্ত্র অন্য কোনো শত্রুভাবাপন্ন আক্রমণাত্মক বাহিনী কর্তৃক আক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য যুদ্ধবিহীন এক শান্তিপূর্ণ পৃথিবী গড়ে তোলা। আমাদের পার্টির অঙ্গীকার হলো আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিলীশতা রক্ষা করা।’
রাতে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত একটি ভিডিওতে কংগ্রেসে ভাষণদানরত কিমকে দেখা যায়। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী কংগ্রেসে ওয়ার্কার্স পার্টির ভোট দেওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন তিন হাজার ৪৬৭ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
কিমের ভাষণকে উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন কেসিএনএ জানায়, ‘উত্তর কোরিয়া সেই সব দেশের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন ও স্বাভাবিক করবে যারা ডিপিআরকে-র সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং এর প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন, হতে পারে তারা হয়তো অতীতে এর প্রতি শত্রুভাবাপন্ন ছিল’।
আরও পড়ুন: ‘৭০ দিনের যুদ্ধ’ কেড়ে নিয়েছে নাগরিকদের ঘুম
উল্লেখ্য উত্তর কোরিয়া আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে ২০০৬ সালে প্রথমবারের মত পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করে। এর পর থেকেই উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে পারমাণবিক বোমা হামলার আশঙ্কায় রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। ৩৩ বছর বয়সী কিম ‘ভুলবুঝাবুঝি’ ও ‘অবিশ্বাসের’ অবসান ঘটিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গেও সম্পর্ক উন্নয়ন করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া বিশ্বাসযোগ্যভাবে পারমাণবিক অস্ত্র-রোধকরণ চুক্তি বাস্তবায়নের বাধ্যবাধকতা পরিপূরণ করবে এবং পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্বের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবে।’
উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দলটি গত ৩৬ বছরের মধ্যে এবারই প্রথমবারের মতো কংগ্রেসের আয়োজন করেছে। শুক্রবার এক উদ্বোধনী অধিবেশনের মাধ্যমে কংগ্রেসের কার্যক্রম শুরু হয়।সূত্র: বিবিসি
/ইউআর/বিএ/