সিরিয়ার উপকূলীয় দুটি শহরে বোমা বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস। তবে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম নিহতের সংখ্যা ৭৮ বলে জানিয়েছে।
সোমবার (২৩ মে) সরকার-নিয়ন্ত্রিত জাবলেহ এবং টারতোস শহরে বোমা হামলা চালানো হয়। শহর দুটিতে রুশ সেনাদের উপস্থিতিও রয়েছে। টারতোস শহরে রয়েছে রুশ নৌঘাঁটি এবং জাবলেহ শহরে রয়েছে রুশ বিমান ঘাঁটি।
ইসলামিক স্টেট (আইএস) ভূমধ্যসাগরীয় দুই শহরে চালানো ওই বোমা হামলার দায় স্বীকার করে বলেছে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সমর্থকদের লক্ষ্য করে তারা এ হামলা চালাচ্ছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি জানিয়েছে, শহর দুটিতে সাতটি বোমা হামলা চালানো হয়। জাবলেহ শহরে চালানো হয় তিনটি আত্মঘাতী এবং একটি গাড়ি বোমা হামলা। টারতোস শহরে চালানো হয় দুটি আত্মঘাতী এবং একটি গাড়ি বোমা হামলা।
সিরিয়ান অবজারভেটরি জানিয়েছে, জাবলেহ শহরে বাস স্টেশনে গাড়ি বোমা হামলা চালানোর পর সেখানে একটি আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়। শহরটিতে অপর দুটি আত্মঘাতী হামলার একটি চালানো হয় এক বিদ্যুৎ কোম্পানির অফিসে, অপরটি এক হাসপাতালে। টারতোস শহরের বাস স্টেশনে চালানো হয় গাড়ি বোমা হামলা, জনগণের ভীড় লক্ষ্য করে অপর দুটি আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়।
জাতিসংঘ, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং রুশ কর্তৃপক্ষ এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘একটি যুদ্ধ যেখানে আড়াই লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন। সেখানে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের ওই হামলা বিঘ্ন ঘটাতে পারে।’
সিরীয় কর্তৃপক্ষ ওই হামলার জন্য তুরস্ক, কাতার এবং সৌদি আরবকে দায়ী করেছে।
সূত্র: আলজাজিরা।
আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আবারও পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ
দুর্ভিক্ষের মুখে আফ্রিকার ৫ কোটি মানুষ
সিরিয়ায় ৫ বছরের গৃহযুদ্ধে ৬০,০০০ কারাবন্দির প্রাণহানি: পর্যবেক্ষক সংস্থা
/এসএ/