ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্য এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে চায় চীন। আর এ জন্য নেপালের রসুয়াগড়ি পর্যন্ত রেলপথ তৈরির করার প্রকল্প রয়েছে চীনের। এমনটাই জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে-র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী ২০২০ সালের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রকল্পটি দিনের আলো দেখলে আমূল পরিবর্তন হবে চীন-ভারত বাণিজ্য সম্পর্কে।
চীন থেকে নেপালের রসুয়াগড়ি পর্যন্ত আন্তসীমান্ত রেলপথ নির্মাণ করে ভারতের সঙ্গেও চীনের যোগাযোগ এবং বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। রসুয়াগড়ি থেকে বিহারের বীরগঞ্জের দুরত্ব মাত্র ২৪০ কিলোমিটার। ফলে, প্রকল্প শেষে এই রেলপথ চীনের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যে লাভবান হবে ভারত। কারণ দূরত্ব কমে যাওয়ায় কলকাতা রুট দিয়ে চীনে পণ্য রফতানিতে যে সময় বা অর্থের প্রযোজন, তা অনেকটাই তা কমে যাবে।
চীনের ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধুমাত্র নেপাল নয় – এই রেলপথের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে সংযোগস্থাপন করতে পারবে চীন। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নে কিছু বাধা রয়েছে বলেও জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নেপালের বেশ কয়েকটি অভ্যন্তরীণ প্রকল্প ইতিমধ্যে নাকচ করে দিয়েছে দেশটির সরকার। ভারতের উপর নেপালের নির্ভরশীলতা নিয়ে সম্প্রতি যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে তা মেটাতে চলতি মাসের প্রথমদিকে কৌশলগত পদক্ষেপ নেয় চীন। হিমালয়ের দুর্গম পথ দিয়ে কাঠমান্ডু পর্যন্ত স্থলপথ ও রেল যোগাযোগ শুরু করেছে তারা।
চলতি বছরের মার্চেই চীনের সঙ্গে রেল ও স্থলপথে পরিষেবা নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করেন বেইজিং সফররত নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। ওই চুক্তি অনুযায়ী, চীনের গাংসু প্রদেশের লানঝউ থেকে নেপালের কাছাকাছি তিব্বতীয় শহর শিগেজে মালবাহী ট্রেন সেবা চালু রাখবে চীন। সেখান থেকে স্থলপথে নেপালে ওই মালপত্র পাঠানো সম্ভব হবে। সমুদ্রপথে যা পাঠাতে পঁয়ত্রিশ দিন বেশি সময় লাগত।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে।
আরও পড়ুন:
সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজাবে সুইফট
নতুন নেতা নির্বাচন করল তালেবান
আইএস-এর ‘রাজধানী’ দখলে কুর্দি বাহিনীর অভিযান
/এসএ/বিএ/