বিরোধীদের দাবি অনুযায়ী নিজের অপসারণ প্রশ্নে আগামী বছরের আগে কোনও ধরনের গণভোটের সম্ভাবনা নাকচ দিয়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। গণভোট প্রশ্নে বিরোধীরা জালিয়াতি করছে অভিযোগ করে মাদুরো জানান, এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হবেন তিনি।
মাদুরোকে অপসারণ প্রশ্নে গণভোটের দাবি জানিয়ে ২ মে ১.৮৫ মিলিয়ন ভোটারের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি পিটিশন দায়ের করেন বিরোধীরা। ওই স্বাক্ষর কর্মসূচিতে বিরোধীরা জালিয়াতি করেছেন বলে শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছে মাদুরো সরকার। এমন প্রেক্ষাপটে শুক্রবার ভেনেজুয়েলার নির্বাচনি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, পিটিশনের ৬ লাখ স্বাক্ষর অবৈধ। অন্তত ১.৩ মিলিয়ন স্বাক্ষরদানকারীকে নির্বাচনি অফিসে উপস্থিত হয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে বলেও জানানো হয়।
শনিবার কারাকাসের এক সমাবেশে অংশ নিয়ে মাদুরো জানান, বিরোধীরা যদি গণভোটের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাগুলো পূরণ করতে পারে তবে আগামী বছর গণভোট হবে। আর নির্দেশনামাফিক কাজ না করতে পারলে গণভোট হবে না। গণভোটের ক্ষেত্রে বিরোধীরা জালিয়াতি করছে বলে আবারও অভিযোগ করেন মাদুরো। তিনি জানান, এ গণভোটের প্রক্রিয়া বাতিল করতে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হবেন।
উল্লেখ্য, ভেনেজুয়েলার এ গণভোটের সময়সূচি দুই পক্ষের জন্যই জরুরি। বিরোধীরা চাইছে গণভোট যেন আগে আগে হয়ে যায়। কেননা ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারির মধ্যে যদি গণভোট হয় এবং মাদুরো হেরে যান তবে নতুন নির্বাচনের ডাক দেওয়া হবে। কিন্তু গণভোট আয়োজনের ক্ষেত্রে সে সময়সীমা পার হয়ে গেলে এবং গণভোটের রায় মাদুরোর বিপক্ষে গেলে তার ভাইস প্রেসিডেন্টই প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। ২০১৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন তিনি। অর্থাৎ সরকারের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্টই প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োজিত থাকবেন। সূত্র: বিবিসি
/এফইউ/