X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

লকডাউনে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমেছে বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন

বিদেশ ডেস্ক
২০ মে ২০২০, ০৬:২৩আপডেট : ২০ মে ২০২০, ০৬:২৪

করোনাভাইরাস মহামারিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লকডাউন জারি করার ফলে কার্বন ডিঅক্সাইড নির্গমনে নাটকীয় অবনতি হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসের চেয়ে এই বছরের একই সময়ে প্রতিদিন গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন কমেছে ১৭ শতাংশ। বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণ নিয়ে এটিই ২০২০ সালের প্রথম সুনির্দিষ্ট গবেষণা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এখবর জানিয়েছে।

লকডাউনে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমেছে বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন

গবেষণার তথ্যে উঠে এসেছে, কার্বন নির্গমনের তথ্য সংরক্ষণ শুরু হওয়ার পর সবচেয়ে বড় অবনতি প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ব যখন মহামারিতে অধিকাংশ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ছিল স্থবির। লকডাউন পূর্ণাঙ্গরূপে জারি থাকা অবস্থায় কয়েকটি দেশে গড়ে ২৬ শতাংশ নির্গমন কমেছে। এপ্রিলে যুক্তরাজ্যে তা ছিল ৩১ শতাংশ ও অস্ট্রেলিয়াতে ২৮ দশমিক ৩ শতাংশ।

নেচার ক্লাইমেট চেঞ্জ নামক জার্নালে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট আংলিয়ার জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ের অধ্যাপক করিন লি কুইরি। তিনি বলেন, এটি অনেক বেশি অবনতি। কিন্তু একই সময়ে বিশ্বের ৮৩ শতাংশ বৈশ্বিক নির্গমন অব্যাহত ছিল। ফলে এটি প্রতীয়মান হয় যে আচরণ পরিবর্তনের মাধ্যমে নির্গমন কমানো কতটা কঠিন।

প্রতিবেদন অনুসারে, বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকায় বিমানচলাচলের নির্গমন কমেছে প্রায় ৬০ শতাংশ। কমে যান চলাচল থেকে নির্গমনও (৩৬%)। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিল্পে কমেছে ৮৬ শতাংশ।

দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, এই অভুতপূর্ব কমে যাওয়া সাময়িক। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বহাল থাকলে ও দেশগুলো কিছুটা বিধিনিষেধ সহকারে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে ফিরলে বার্ষিক কমে যাওয়ার হার মাত্র ৭ শতাংশ হবে।  আর যদি বিধিনিষেধ জুনের মাঝমাঝি পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয় তাহলে এই কমে যাওয়ার হা হবে ৪ শতাংশ।

লি কুইরি জানান, এরপরও এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বার্ষিক নির্গমনে সবচেয়ে বড় পতন এবং সাম্প্রতিক প্রবনতার চেয়ে অনেক ভিন্ন। কারণ বার্ষিক ১ শতাংশ হারে নির্গমন বেড়ে চলেছে। অবশ্য প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্য অর্জনে এই কমে যাওয়া সামান্য ভূমিকা রাখবে।  

আন্তঃসরকার জলবায়ু পরিবর্তন প্যানেলের তথ্য অনুসারে, প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্য হলো এই শতাব্দীর মাঝামাঝিতে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে এবং বৈশ্বিক উষ্ণতাকে সর্বনাশা পর্যায়ে যাওয়া ঠেকাতে হবে।

লি কুইরি বলছেন, কোভিড-১৯ সংকটে নির্গমন কমে যাওয়া দেখিয়ে দিচ্ছে বিশ্বকে এখনও অনেক দূর যেতে হবে লক্ষ্য অর্জন করতে হলে। তিনি বলেন, শুধু আচরণ পরিবর্তনই যথেষ্ট নয়। আমাদের কাঠামোগত (অর্থনৈতিক ও শিল্প) পরিবর্তন প্রয়োজন। কিন্তু যদি এই সুযোগকে আমরা কাঠামোগত পরিবর্তনের জন্য কাজে লাগাই তাহলে আমরা কী অর্জন করতে পারব তা দেখা যাবে। 

/এএ/
সম্পর্কিত
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৫ অভিবাসী নিহত
ইউরোপে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তাপমাত্রা বাড়ছে
রুশ বিদ্যুৎকেন্দ্রে ইউক্রেনের হামলা, ৫০টি ড্রোন ভূপাতিতের দাবি মস্কোর
সর্বশেষ খবর
মশা তাড়ানোর ৫ প্রাকৃতিক উপায়
মশা তাড়ানোর ৫ প্রাকৃতিক উপায়
মেলা থেকে অস্ত্রের মুখে দুই নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ
মেলা থেকে অস্ত্রের মুখে দুই নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ
তীব্র গরমে সিল্কসিটি ট্রেনে আগুন
তীব্র গরমে সিল্কসিটি ট্রেনে আগুন
দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্বামীর অঙ্গহানি করলেন স্ত্রী
দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্বামীর অঙ্গহানি করলেন স্ত্রী
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
ট্রাকেই পচে যাচ্ছে ভারত থেকে আনা আলু, বাজারে ৫৫ টাকা কেজি
ট্রাকেই পচে যাচ্ছে ভারত থেকে আনা আলু, বাজারে ৫৫ টাকা কেজি