সশস্ত্র ড্রোন রফতানির ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ শিথিল করতে ১৯৮৭ সালে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তি থেকে আংশিক বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। শুক্রবার হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, মিসাইল টেকনোলোজি কন্ট্রোল রেজিম (এমটিসিআর) এর অংশ বিশেষ থেকে বের হয়ে যাওয়া অনুমোদন করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন রফতানির সুযোগ উন্মোচিত হবে। হোয়াইট হাউস বলছে, মার্কিন প্রযুক্তির প্রয়োজন পড়ছে মিত্রদের, আর ওই চুক্তির বাইরে থাকা দেশগুলো ওই বাজার দখল করে নিচ্ছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি’র প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
১৯৮৭ সালে মিসাইল টেকনোলোজি কন্ট্রোল রেজিম (এমটিসিআর) স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে ৩৫টি দেশ মানুষবিহীন অস্ত্র বিতরণ ব্যবস্থা বিক্রি নিয়ন্ত্রণ করতে একমত হয়। এমটিসিআর-এর লক্ষ্য ছিল পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষমের মতো বড় ধরণের ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা। তবে এর আওতায় সশস্ত্র ড্রোন নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও পড়ে। চুক্তি স্বাক্ষরের সময় যুদ্ধে ড্রোনের ব্যবহার তেমন না থাকলেও গত কয়েক বছর ধরে তা বেড়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার এমটিসিআর-এর যে পরিবর্তন অনুমোদন করেছেন তাতে প্রতি ঘণ্টায় অন্তত আটশ’ কিলোমিটার সর্বোচ্চ বেগে উড়তে পারা ড্রোন রফতানি করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়াও মার্কিন সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত র্যাপার অ্যান্ড প্রিডেটর ড্রোনও বিক্রি করা যাবে। এমনকি মার্কিন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্য নানা ধরণের ড্রোনও রফতানি করা যাবে।
হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এমটিসিআর’র নীতিমালাগুলো তিন দশকেরও বেশি সময়ের পুরনো। এসব পুরনো নীতিমালা কেবল এমটিসিআর’র বাইরে থাকা দেশগুলোকে অন্যায্য সুবিধা দিচ্ছে তাই নয় এতে মার্কিন শিল্প আক্রান্ত হচ্ছে। তাছাড়াও এগুলো আমাদের সহযোগী ও মিত্রদের আধুনিক প্রযুক্তি পাওয়ায় বাধা দিয়ে বিদেশে আমাদের প্রতিরোধ সক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে।’ ওই বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে দুই বছর আলোচনা চালিয়েও এমটিসিআর সংস্কার করতে ব্যর্থ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ অন্য দেশগুলোকে অস্ত্র প্রতিযোগিতায় নামতে প্ররোচিত করবে।