অবশেষে ইসরায়েল-আমিরাত চুক্তি নিয়ে মুখ খুলেছে সৌদি আরব। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ এ চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। একইসঙ্গে এ চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইতিবাচক অবদান রাখবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বুধবার বার্লিনে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাসের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নিজ দেশের এমন অবস্থানের কথা জানান প্রিন্স ফয়সাল।
প্রিন্স ফয়সাল বলেন, এই অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখার যেকোনও প্রচেষ্টা, যা দখলদারিত্বের হুমকিকে পেছনে ঠেলে দেয়, তাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখা যেতে পারে।
চুক্তিকে স্বাগত জানালেও রিয়াদও আমিরাতকে অনুসরণ করবে; সরাসরি এমন কোনও মন্তব্য করেননি সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের মধ্যে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানদণ্ডের ভিত্তিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর শান্তি স্থাপিত হলে সবকিছুই সম্ভব।
প্রিন্স ফয়সাল বলেন, তার দেশ ২০০২ সালে আরব লীগ কর্তৃক গৃহীত আরব শান্তি উদ্যোগের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ।
হোয়াইট হাউজ সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে আরও একাধিক আরব ও আফ্রিকান দেশ আমিরাতকে অনুসরণ করবে।
ইসরায়েল-আমিরাত চুক্তিকে স্বাগত জানানোয় মিসর, ওমান ও বাহরাইনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এরমধ্যে মিসরের সিসি সরকার ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসরায়েলি গোয়েন্দা মন্ত্রী স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, আমিরাতকে অনুসরণ করা পরবর্তী উপসাগরীয় দেশ হতে পারে বাহরাইন ও ওমান। মিসর, বাহরাইন, ওমান তিন দেশই সৌদি-আমিরাত বলয়ের হিসেবে পরিচিত। সূত্র আনাদোলু এজেন্সি, ইউএস নিউজ।