কুয়েতের নতুন আমির হিসেবে শপথ নিয়েছেন ৮৩ বছরের নাওয়াফ আল-আহমেদ। বুধবার শপথ গ্রহণের পর মধ্যপ্রাচ্যে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে দেশের উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
বুধবার পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে নাওয়াফ আল-আহমেদ বলেন, জাতি আজ এক কঠিন পরিস্থিতি ও বিপজ্জনক চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। ঐক্যবদ্ধভাবে সবার কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমেই কেবল এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
পূর্বসূরি মরহুম আমির শেখ সাবাহ আল-আহমেদ আল-সাবাহ-র সৎ ভাই নাওয়াফ আগের প্রশাসনে যুবরাজের দায়িত্ব পালন করেছেন। শেখ সাবাহ-ও এ অঞ্চলে উত্তেজনা প্রশমনে কাজ করেছেন। সৌদি জোটের কাতারবিরোধী অবরোধ প্রত্যাহারে মধ্যস্থতা করেছেন তিনি।
২০২০ সালের জুলাইয়ে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করেন শেখ সাবাহ। মঙ্গলবার কুয়েতের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে শেখ সাবাহ-র মৃত্যুর ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপরই তার সৎভাই ও যুবরাজ শেখ নাওয়াফ আল-আহমেদ নতুন আমির হিসেবে বেছে নেয় দেশটির মন্ত্রিসভা।
এদিকে সাবেক আমির শেখ সাবাহ আল-আহমেদ আল-সাবাহ-র মরদেহ বুধবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
নতুন আমির শেখ নাওয়াফ আল-আহমেদ বলেন, শেখ সাবাহ আল-আহমেদ আল-সাবাহ যেভাবে জাতিকে দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন সেজন্য দেশের জনগণ তাকে মনে রাখবে।
উল্লেখ্য, বিশ্বের ষষ্ঠ শীর্ষ তেল মজুতকারী দেশ কুয়েত। দেশটির ৪১ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ৩৪ লাখই বিদেশি। বিগত ২৬০ বছর ধরে দেশটি শাসন করছে সাবাহ পরিবার। উপসাগরীয় এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র কুয়েত। দেশটির রাজনৈতিক বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতা থাকে আমিরের। পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া কিংবা পাল্টে দিয়ে নির্বাচনের ডাক দেওয়ার ক্ষমতাও আমিরের হাতে।