মার্কিন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম বিতর্কে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেনের আরবি শব্দ ‘ইনশআল্লাহ’ উচ্চারণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে ঝড় উঠেছে। মঙ্গলবারের বিতর্কে এই ঘটনাকে টুইটার ব্যবহারকারীদের অনেকেই ঐতিহাসিক আখ্যায়িত করছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
মঙ্গলবারের বিতর্কে প্রত্যাশিতভাবেই ট্রাম্পের আয়কর প্রদানের বিষয়টি উঠে আসে। কবে আয়কর দাখিলের তথ্য প্রকাশ করতে পারেন—এই বিষয়ে সঞ্চালক ক্রিস ওয়ালেস বারবার চাপ দিতে থাকলে ট্রাম্প বারবার বলেন, আপনারা সময় মতো তা দেখতে পাবেন।
এ সময় বাইডেন ব্যঙ্গ করে বলেন, কবে? ইনশআল্লাহ?।
Joe Biden: "inshallah"
— Siraj Hashmi (@SirajAHashmi) September 30, 2020
habibis, it's happening...
সম্প্রতি বাইডেন তার ব্যক্তিগত আয়করের তথ্য প্রকাশ করেছেন। এতে দেখা গেছে, সাবেক এই ভাইস প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রী জিল বাইডেন তাদের মোট সম্পদ ৯ লাখ ৮৫ হাজার ডলারের ৩০ শতাংশ আয়কর পরিশোধ করেছেন।
LMAOO did Biden just say Inshallah??? IM SCREAMING pic.twitter.com/mCdmIddlzs
— zaynab ☯︎︎ (@zaynabbashirr) September 30, 2020
বিপরীতে, ট্রাম্প স্বেচ্ছায় নিজের আয়করের তথ্য প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। সোমবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত ১৫ বছরের মধ্যে ১০ বছর ট্রাম্প কোনও আয়কর প্রদান করেননি। খবরে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে মাত্র ৭৫০ ডলার ও ২০১৭ সালে আরও ৭৫০ ডলার আয়কর প্রদান করেছেন তিনি।
Biden dropped an "Inshallah" at the debate. pic.twitter.com/DLrGWR3eGb
— Waleed Shahid (@_waleedshahid) September 30, 2020
মঙ্গলবারের বিতর্কে ট্রাম্প এই প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আপত্তি তুলেন। তিনি বলেন, মিলিয়ন ডলার কর, মিলিয়ন ডলার আয়কর পরিশোধ করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা বাইডেনের হাস্যরসের মন্তব্য নিয়ে দ্রুতই প্রতিক্রিয়া জানান। অনেকেই এই ঘটনাকে আমেরিকার জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলে আখ্যায়িত করেছেন।
কেউ কেউ আবার বলছেন, বাইডেন হয়তো সাধারণ আরবি প্রকাশভঙ্গির বদলে ‘জুলাইয়ে’ বলেছেন।
a historic moment in America -- inshallah in a presidential debate
— Hamed Aleaziz (@Haleaziz) September 30, 2020
এনপিআর-এর জাতীয় রাজনীতি বিষয়ক প্রতিনিধি আসমা খালিদ বাইডেনের প্রচারণা শিবিরের পক্ষ থেকে ইনশআল্লাহ বলা নিশ্চিত করেছেন।
কয়েকজন আবার নিজেদের বিস্ময় প্রকাশ করে বলছেন, ২০২০ সালে যেকোনও কিছুই সম্ভব।