গণভোটে ইউথেনেশিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যুকে স্বীকৃতি দিয়েছেন নিউ জিল্যান্ডের জনগণ। গণভোটের এই রায়ের ফলে আগামী বছর থেকে মৃতপ্রায় মানুষ স্বেচ্ছায় মৃত্যু বেছে নিতে পারবেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সম্প্রতি নিউ জিল্যান্ডের ভোটের সময় স্বেচ্ছামৃত্যু নিয়ে একটি গণভোটের আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার সেই ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, দেশটির ৬৫ শতাংশ মানুষ স্বেচ্ছামৃত্যুর পক্ষে। সম্পূর্ণ ফলাফল এখনও প্রকাশ করা হয়নি। পোস্টাল ব্যালট গুণে চূড়ান্ত ফল জানাতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পোস্টাল ব্যালট বর্তমান ফলকে বদলে দিতে পারবে না।
নিউ জিল্যান্ডের পার্লামেন্ট গণভোটের রায়কে স্বীকৃতি দিতে আইন প্রণয়ন করবে। আগামী বছরের শেষের দিকে আইনটি কার্যকর হতে পারে। তবে সবাই নয়, কেবল মৃতপ্রায় ব্যক্তিরাই এই আইনের সহযোগিতা নিতে পারবেন। দুজন চিকিৎসক ওই ব্যক্তিকে পরীক্ষা করবেন এবং স্বেচ্ছামৃত্যুর বিষয়ে তাদের সহমত হতে হবে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন দীর্ঘদিন ধরেই স্বেচ্ছামৃত্যুকে সমর্থন জানাচ্ছেন। গণভোটের ফলাফলকে সমর্থন জানিয়েছে তিনি।
স্বেচ্ছামৃত্যুর পাশাপাশি আরও একটি বিষয়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। পরিমিত গাঁজা সেবন বৈধ করার বিষয়ে আয়োজিত গণভোটে ৫৩ শতাংশ মানুষ বিপক্ষে ভোট দিয়েছে, ৪৬ শতাংশ মানুষ পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তবে পোস্টাল ব্যালটের ফলাফল এই ফল বদলে দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্বের অধিকাংশ দেশের আইনে স্বেচ্ছামৃত্যুর প্রতি সমর্থন নেই। নেদারল্যান্ডস, কানাডার মতো অল্প কয়েকটি দেশে স্বেচ্ছামৃত্যুকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।