হিমালয়ে জন্মানো ফুলের বীজ অবৈধভাবে পাচার হয়ে যাচ্ছে, বিক্রি হচ্ছে যুক্তরাজ্যে। ন্যাশনাল হিমালয়ান অথরিটি জানায়, এ সমস্ত বীজ সংগ্রহ করার কোন প্রকার অনুমতি কাউকেই দেওয়া হয়নি।
তারা আরও জানায়, এই বীজ সংগ্রহের ফলে কেবল পরিবেশেরই ক্ষতি হচ্ছে না, স্থানীয় জাতিগোষ্ঠীর ওপরও এর প্রভাব পড়ছে।
তবে বীজ সংগ্রাহকদের মতে, স্থানীয়রা তাদের এই বীজ সংগ্রহ করতে সাহায্য করেছেন। অনেকে এ-ও জানান, এই বীজ সংগ্রহ করা যে বেআইনি তা তারা জানতেন না।
এদিকে যুক্তরাজ্যের রয়াল হরটিকালচার সোসাইটিএ সঙ্গে যুক্ত সংগঠন দ্য রডোডেনড্রন, ক্যামেলিয়া অ্যান্ড ম্যাগনোলিয়া গ্রুপ স্বীকার করেছে তাদের এক সংগ্রাহক কোন অনুমতি ছাড়াই হিমালয়ের গাছগুলোর বীজ সংগ্রহ করে এনেছে।
ওই গ্রুপের চেয়ারম্যান ডেভিড মিলাইস এ প্রসঙ্গে এক লিখিত পত্রে দুঃখ প্রকাশ করেন। ভারতের সিকিম রাজ্যের কর্তৃপক্ষকে লেখা ওই চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘ আমরা আমাদের সংগ্রাহকের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, তিনি কোন অনুমতি ছাড়াই বীজ সংগ্রহ করে এনেছেন যা অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়।’
এর উত্তরে সিকিম ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান থমাস চ্যানডি জানান, ওয়াইল্ড লাইফ প্রটেকশন অ্যাক্ট, ১৯৭২ অনুযায়ী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছের নমুনা সংগ্রহ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, এমনকি স্থানীয়রাও যদি এসব গাছের বীজ সংগ্রহ করে বিদেশীদের কাছে বিক্রি করতে চায়, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া তা কেনা বেআইনি।ভারতের বায়োডাইভারসিটি অথরিটির অনুমতি সাপেক্ষেই কেবল তা কেনা যাবে।
সূত্র বিবিসি
/ইউআর/