চার দিনের সফরে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বরাবরই বাংলাদেশের সরকারপ্রধানরা লন্ডনে এলে এক পক্ষ বিক্ষোভ করে, অন্য পক্ষ স্বাগত জানায়। এ ধারা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। গত বিশ বছরের বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছিল এরকম কর্মসূচিতে। এবারে ড. ইউনূসের সফরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বিমানবন্দর থেকে অধ্যাপক ইউনূস সেন্ট্রাল লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে ওঠেন। সে হোটেলের সামনে দুটি পক্ষ সকাল থেকে অবস্থান নেয়। তবে স্থানীয় পুলিশ ছিল সতর্ক অবস্থানে।
তবে, প্রবাসের মাটিতে বাংলাদেশের দলীয় রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক নেই এমন প্রবাসীরা এ ধরনের কর্মসূচি বন্ধের আহ্বান জানান।
এদিকে, লন্ডনে ড. ইউনূস যে হোটেলে অবস্থান করছেন তার সামনে সকাল থেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতাকর্মী। তাদের হাতে ছিল ড. ইউনূসের ছবি সংবলিত বিভিন্ন প্রতিবাদী ফেস্টুন ও ব্যানার। সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভে অংশ নেন।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক জানান, ড. ইউনূস যেসব জায়গায় মিটিং করবেন, সেখানে বিক্ষোভ করবেন তারা।
অপরদিকে, ড. ইউনূসকে স্বাগত জানাতে হোটেলের সামনে সকাল থেকে অবস্থান নেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাদের কারও কারও হাতে ছিল ব্যানার, ড. ইউনূসের ছবি। তাদের অনেকেই জামায়াতে ইসলামী, খেলাফত মজলিসসহ সমমনা দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ব্যানারেও কিছু ব্যক্তিকে দেখা যায়। এই সমাবেশে ব্যবসায়ী সিরাজ হক, জামায়াত নেতা ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা, ব্যারিস্টার সাইফুদ্দিন খালেদ, খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা সালেহ আহমদ উপস্থিত ছিলেন। তবে এখানে যুক্তরাজ্য বিএনপির কাউকে দেখা যায়নি।
এদিকে, আজ স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে ‘রিফর্ম বাংলাদেশ’র ব্যানারে অধ্যাপক ইউনূসের সমর্থনে একটি সমাবেশের কর্মসূচি রয়েছে।