মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তার শুল্কনীতির লক্ষ্য জুতা ও টি-শার্টের মতো পণ্য উৎপাদন করা নয় বরং দেশে ট্যাংক ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনকে উৎসাহিত করা। রবিবার (২৫ মে) নিউ জার্সিতে এয়ারফোর্স ওয়ানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। এ সময় এমন মন্তব্য করেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, তিনি তার অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টের গত ২৯ এপ্রিল করা মন্তব্যের সঙ্গে একমত। ওইদিন বেসেন্ট বলেছিলেন—যুক্তরাষ্ট্রে বিস্ফোরক টেক্সটাইল শিল্পের দরকার নেই। অবশ্য তার এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় টেক্সটাইল সংস্থা এনসিটিও।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা স্নিকার্স বা টি-শার্ট বানাতে চাই না। আমরা সামরিক সরঞ্জাম তৈরি করতে চাই। আমরা বড় কিছু বানাতে চাই। আমরা এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নিয়ে কাজ করতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, “সত্যি বলতে, আমি টি-শার্ট বা মোজা বানাতে চাই না। আমরা খুব সহজেই সেসব অন্য জায়গা থেকে তৈরি করে আনতে পারি। আমরা চিপস, কম্পিউটার এবং আরও অনেক কিছু, এমনকি ট্যাংক ও জাহাজ তৈরি করতে চাই।’
তবে ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন-এএপিএ জানায়, শিল্পের জন্য শুল্ক ভালো কিছু নয়।
এএপিএ প্রেসিডেন্ট স্টিভ লামার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা যেসব জামাকাপড় ও জুতা পরি, তার ৯৭ শতাংশ আমদানি করা হয়। কাপড় ও জুতা যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপিত খাত। তাই আমাদের এমন বাস্তবভিত্তিক সমাধান খুঁজে বের করতে হবে, যা আসল পরিবর্তন আনতে পারে। আরও বেশি শুল্ক কেবল আমেরিকান নির্মাতাদের জন্য কাঁচামালের খরচ বাড়াবে এবং নিম্ন আয়ের ভোক্তাদের জন্য পণ্যের দাম বাড়াবে।’
বিশ্ববাজারে ব্যাপক শুল্ক আরোপের মাধ্যমে আলোড়ন তোলা ট্রাম্প শুক্রবার আবারও কঠোর বাণিজ্যনীতি গ্রহণের হুঁশিয়ারা দিয়েছেন। আগামী ১ জুন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে চান তিনি। পাশাপাশি অ্যাপলকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তারা বিদেশ থেকে যেসব আইফোন কিনছেন, সেগুলোর ওপরও তিনি ২৫ শতাংশ শুল্ক বসাতে পারেন।
তবে রবিবার সেই হুমকি থেকে কিছুটা সরে এসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য শুল্ক আরোপের সময়সীমা ৯ জুলাই পর্যন্ত বাড়ান ট্রাম্প, যাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ-র মধ্যে আলোচনার সময় থাকে।