এবার ভার্জিনিয়ার সাবেক শেরিফকে পূর্ণ ও নিঃশর্ত ক্ষমা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (২৭ মে) সাবেক শেরিফ স্কট জেনকিনসকে ক্ষমা করার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। গত বছর ফেডারেল ঘুষ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন স্কট জেনকিনস। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ট্রাম্পের ক্ষমা ঘোষণার ফলে কারাদণ্ড থেকে রেহাই পেলেন শেরিফ।
ট্রাম্পের অভিযোগ, এই আইনপ্রয়োগকারী কর্মকর্তা বাইডেন প্রশাসনের বিচার বিভাগের অতিসক্রিয়তার শিকার হয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘শেরিফ স্কট জেনকিনস, তার স্ত্রী প্যাট্রিসিয়া এবং তাদের পরিবারকে নরকের মধ্যে দিয়ে টেনে নেওয়া হয়েছে।’,
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আগামীকাল শেরিফ জেলে যাচ্ছেন না, বরং একটি চমৎকার ও ফলপ্রসূ জীবন কাটাবেন।’
স্কট জেনকিনস ভার্জিনিয়ার কুলপেপার কাউন্টির শেরিফ ছিলেন। কুলপেপার কাউন্টি ওয়াশিংটন ডিসি’র বাইরে প্রায় দুই ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত।
দুর্নীতির অভিযোগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে জুরি বোর্ডের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। মার্চে তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে ফেডারেল আদালত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সহকারী ডেপুটি শেরিফ পদে নিয়োগ দেওয়ার বিনিময়ে জেনকিনস স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৭৫ হাজার ডলারের বেশি ঘুষ নিয়েছেন।
আদালতের নথি ও সাক্ষ্য অনুযায়ী, ঘুষদাতারা মূলত নির্বাচনী তহবিলে অবদান আকারে অর্থ প্রদান করেছিলেন এবং এর বিনিময়ে তারা ডেপুটি শেরিফ হিসেবে শপথ নেন ও ব্যাজ ও পরিচয়পত্র পান।
জেনকিনস যাদের এই পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে একজন ছিলেন দণ্ডিত অপরাধী।
সে সময় মার্কিন বিচার বিভাগ জানায়, এই ঘুষদাতারা প্রশিক্ষিত ছিলেন না, যাচাই করা হয়নি এবং তারা শেরিফের দফতরে কোনও বৈধ সেবা দেননি।
দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর জেনকিনস ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে সরাসরি ক্ষমার আবেদন জানান।
জেনকিনসের দণ্ডাদেশ ঘোষণায় জড়িত বিচার বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেননি।