গত দুইদিন ধরে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে বিভিন্ন কারখানার কর্মীরা ঢাকায় ঢুকেছেন। আর এসব চিত্র গণমাধ্যমে দেখিয়েছে আর আমরা সবাই দেখেছি- বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম।
আর এতে করে করোনার সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বলেও জানান তিনি।
রবিবার (১ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত অনলাইন ভার্চুয়াল বুলেটিনে গত দুই দিন ধরে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে বিভিন্ন কারখানার কর্মীরা ঢাকায় ফিরছে, প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বরাবরই বলেছি জনসমাবেশ উপেক্ষা করে চলতে। কারণ এগুলো সংক্রমণ বাড়িয়ে দিতে সহায়তা করে। গণমাধ্যমে দেখিয়েছে আর আমরা সবাই দেখেছি— এতে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলো আমরা জানি, নতুন কোনও উপায় নেই জানিয়ে তিনি বলেন, লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো বা কমানো- এটি নির্ভর করবে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নীতি-নির্ধারণী মহলে যারা কাজ করেন তাদের ওপর। আমরা বিশ্বাস রাখতে চাই, জনস্বাস্থ্য ও জনস্বাস্থ্য রক্ষা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ভাসমান মানুষদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা একটি নির্দিষ্ট বয়সসীমা পর্যন্ত সবাইকে টিকা দিতে চাই। ন্যূনতম পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে টিকা নেওয়া যাবে। যারা ভবঘুরে, তাদের কেউ বুঝিয়ে যদি কেন্দ্রে নিয়ে আসতে পারেন তাহলে তারাও টিকা নিতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, ১ আগস্ট থেকে তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শিল্প-কারখানা চালুর ঘোষণায় শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় ফিরছে মানুষ। গভীর রাত পর্যন্ত যাত্রীদের অস্বাভাবিক ভিড় ছিল বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌ-রুটে।
শিমুলিয়া ঘাটে আসা প্রতিটি লঞ্চে দেখা যায় যাত্রীদের গাদাগাদি। ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। অতিরিক্ত যাত্রী বহন করায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে লঞ্চগুলোকে জরিমানাও করছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ঘাট সংশ্লিষ্টরা জানান, দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রীরা অন্যতম এ নৌ-রুট হয়ে রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করেন। কঠোর লকডাউনের কারণে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও দক্ষিণাঞ্চল থেকে মানুষজন নসিমন, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, থ্রি-হুইলার, মাহেন্দ্রসহ বিভিন্ন যানবাহনে ও পায়ে হেঁটে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটে পৌঁছান। এতে রাতে ঘাট ও ফেরিতে চাপ বেড়ে যায়।
এদিকে, বাংলা ট্রিবিউনের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার প্রথম দিনে নারায়ণগঞ্জে শ্রমিকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। শ্রমিকরা দূর-দূরান্ত থেকে হেঁটে, অটোরিকশা, ইজিবাইক ও সিএনজিসহ বিভিন্ন যানবাহনে এসে রবিবার (১ আগস্ট) সকাল থেকে নিজ নিজ কর্মস্থল যোগ দেন।