ব্লাড ক্যানসার ও রক্তরোগ বিষয়ক সেবা দিতে মগবাজারের ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালে চালু হয়েছে ‘হেমাটোলজি ও ব্লাড ক্যানসার সেন্টার’। আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) ব্লাড ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করার লক্ষ্যে হাসপাতালটি সহানুভূতির সঙ্গে রোগীদের পাশে থাকার অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে এ সেন্টারটির যাত্রা শুরু করে। ব্লাড ক্যানসার ও রক্তরোগ সম্পর্কিত রোগীরা সাশ্রয়ী মূল্যে এখান থেকে প্রায় সব ধরনের সেবা পাবেন। প্রধান অতিথি হিসেবে এর উদ্বোধন করেন ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আফজালুল করিম।
উদ্বোধনের পর (আগামীকাল বুধবার) বিশ্ব ব্লাড ক্যানসার দিবসকে সামনে রেখে চিকিৎসক, বিশিষ্টজন ও সাংবাদিকদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভারও আয়োজন করা হয়। ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালের কনসালটেন্ট রক্তরোগ ও ব্লাড ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ডা. জান্নাতুল ফেরদৌসের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আফজালুল করিম। আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ক্যানসার হাসপাতালের গাইনি ক্যানসার বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. বেগম রোকেয়া আনোয়ার, রক্তরোগ ও ব্লাড ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ডা. ফেরদৌসী বেগম, ডা. আরিফ উর রহমান, ডা. রিফাত জিয়া হোসেন, ডা. তাসনিম হোসাইন এবং হাসপাতালের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আলতাফ হোসেন প্রমুখ।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আফজালুল করিম বলেন, ‘শুরুতে শনাক্ত হলে ব্লাড ক্যানসার থেকেও আরোগ্য লাভ করা যায়। শিশুদের ব্লাড ক্যানসার (এএলএল) ৮০ শতাংশ পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করে, প্রয়োজন যথাযথ চিকিৎসা ও সেবা। বাংলাদেশে ক্রমাগতভাবে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, প্রতি লাখে ১১৪ জন ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে এখনকার চেয়ে দ্বিগুণ মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে। ক্যানসারকে থামাতে এখন থেকে সবাইকে সচেতন হতে হবে। রোগ নির্ণয় করতে হবে।’
ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালে দেশের বিশিষ্ট রক্তরোগ বিশেষজ্ঞরা (হেমাটোলজিস্ট) চিকিৎসা ও পরামর্শ দেবেন। একইসঙ্গে এই হাসপাতালে রক্ত রোগ সম্পর্কিত নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থাও রয়েছে।’
উল্লেখ্য, মুনাফা নয়, সেবাই প্রথম এই স্লোগানকে প্রাধান্য দিয়ে ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত। এই লক্ষ্যে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এখানে ২৫ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে। অনুষ্ঠানটি স্পন্সর করেছে হেলথকেয়ার লিমিটেড।