X
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
৩ আষাঢ় ১৪৩২

ইতিহাস নিয়ে সাজানো-গোছানো ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি (ভিডিও)

শাহরিয়ার নোবেল, কুমিল্লা
১৯ নভেম্বর ২০২০, ১৭:১৮আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২০, ১৭:১৯

কুমিল্লায় অবস্থিত ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি একটি কমনওয়েলথ যুদ্ধ সমাধি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বার্মায় নিহত ৪৫ হাজার কমনওয়েলথ সৈনিকের স্মৃতিরক্ষার্থে মিয়ানমার, আসাম ও বাংলাদেশে ৯টি রণ সমাধিক্ষেত্র তৈরি হয়। বাংলাদেশে কুমিল্লা ছাড়াও চট্টগ্রামে আছে আরেকটি কমনওয়েলথ রণ সমাধিক্ষেত্র।

১৯৪৬ সালে তৈরি হয় ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি। কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের খুব কাছেই এই যুদ্ধ সমাধি। এটি কমনওয়েলথ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তারাই পরিচালনা করে সমাধিক্ষেত্র। প্রতিবছর নভেম্বরে সব ধর্মের ধর্মগুরুদের সমন্বয়ে এতে প্রার্থনাসভা হয়ে থাকে।

সমাধিক্ষেত্রটিতে ৭৩৬টি কবর আছে। এর মধ্যে অধিকাংশই সেই সময় হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করা সৈনিকদের। যুদ্ধের পরও বিভিন্ন স্থান থেকে কিছু লাশ স্থানান্তরের মাধ্যমে ময়নামতিতে সমাহিত করা হয়। যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, অবিভক্ত ভারত, রোডেশিয়া, পূর্ব আফ্রিকা, পশ্চিম আফ্রিকা, মিয়ানমার, বেলজিয়াম, পোল্যান্ড, জাপানের সৈন্যরা সমাহিত আছেন এই ওয়ার সিমেট্রিতে।

প্রবেশমুখে একটি তোরণ আছে। ভেতরে প্রশস্ত পথ, এর দু’পাশে সারি সারি কবর ফলক। ধর্ম অনুযায়ী সৈন্যদের কবর ফলকে নাম, মৃত্যুর তারিখ, পদবীর পাশাপাশি ধর্মীয় প্রতীক লক্ষণীয়। মুসলমানদের কবর ফলকে আরবি লেখা, খ্রিস্টানদের কবর ফলকে ক্রুশ উল্লেখযোগ্য।

প্রশস্ত পথের সম্মুখে সিঁড়ি দেওয়া বেদি। এর ওপরে রয়েছে খ্রিস্টধর্মীয় পবিত্র প্রতীক ক্রুশ। বেদির দু’পাশে আরও দুটি তোরণ ঘর। তোরণ ঘর দিয়ে সমাধিক্ষেত্রের পেছন দিকের অংশে যাওয়া যায়। সেখানে আছে আরও বহু কবর ফলক। প্রতি দুটি কবর ফলকের মাঝখানে শোভা পাচ্ছে একটি করে ফুল গাছ।

পুরো সমাধিক্ষেত্রেই রয়েছে প্রচুর গাছ। সম্মুখ অংশের প্রশস্ত পথের পাশেই ব্যতিক্রম একটি কবর। একসঙ্গে ২৩টি কবর ফলক দিয়ে এটি ঘিরে রাখা হয়েছে। সমাধিক্ষেত্রটি সুন্দর, পরিপাটি ও ইতিহাসসমৃদ্ধ।

প্রতিবছর দেশ-বিদেশের বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থী সৈন্যদের প্রতি সম্মান জানাতে ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিতে ঘুরতে আসেন। সমাধিক্ষেত্রে ঢুকতে কোনও টিকিটের প্রয়োজন হয় না। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দর্শনার্থীদের প্রবেশ সীমিত রাখা হয়েছে।

/জেএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জ্বালানি তেলের দাম আপাতত বাড়ছে না: অর্থ উপদেষ্টা
জ্বালানি তেলের দাম আপাতত বাড়ছে না: অর্থ উপদেষ্টা
‘ভয় দেখিয়ে জুলাই গণহত্যার বিচার থেকে দূরে সরানো যাবে না’
‘ভয় দেখিয়ে জুলাই গণহত্যার বিচার থেকে দূরে সরানো যাবে না’
এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনায় সতর্ক বাংলাদেশ বিমান
এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনায় সতর্ক বাংলাদেশ বিমান
ইনসাফ: নকল পোস্টার ও অগণিত ফর্মুলার ছবি, রেটিং ৫/১০
সিনেমা সমালোচনাইনসাফ: নকল পোস্টার ও অগণিত ফর্মুলার ছবি, রেটিং ৫/১০
সর্বাধিক পঠিত
ক্রিকেটার সাকিবসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ক্রিকেটার সাকিবসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা থেকে সরে দাঁড়ালো ভারত?
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা থেকে সরে দাঁড়ালো ভারত?
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি: আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি: আসিফ মাহমুদ
ইরানের ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা ‘অবমূল্যায়ন’ করেছে ইসরায়েল
ইরানের ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা ‘অবমূল্যায়ন’ করেছে ইসরায়েল
তেহরানের আকাশসীমায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার দাবি ইসরায়েলের
তেহরানের আকাশসীমায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার দাবি ইসরায়েলের