হলিউডের ‘টুইস্টার’ ছবিটি দেখেছেন? এতে দেখা যায়—ঘূর্ণিঝড়ে সবাই নিরাপদ আশ্রয়ে থাকলেও একদল গবেষক গাড়ি নিয়ে ঝড়ের পেছনে ছোটে! বাস্তবেও বিমান চালিয়ে নিয়মিত এমন দুঃসাহসিক কাজ হয়ে থাকে। সামুদ্রিক ঝড় গবেষণার মিশনে হাওয়াই যাওয়া এমন একটি উড়োজাহাজের দুই বৈমানিকসহ সব ফ্লাইট ক্রুর দায়িত্ব পালন করেছেন নারীরা। এতেই রচিত হয়েছে নতুন ইতিহাস। এ ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সমুদ্র ও আবহাওয়া সংস্থার (এনওএএ) জন্য বড়সড় মাইলফলক।
যুক্তরাষ্ট্রের লেফট্যানেন্ট কমান্ডার রেবেকা ওয়াডিংটন ও ক্যাপ্টেন ক্রিস্টি টুইনিং নিয়মিত ৪০ হাজার ফুট উঁচুতে ঘূর্ণিঝড়ের চারপাশে বিমান চালান। গত ৫ আগস্ট হারিকেন হেক্টর আঘাত আনার সময় প্রথমবার একসঙ্গে ককপিট ভাগাভাগি করেন তারা। ১৯৬০ সালে ‘এনওএএ হারিকেন হান্টারস’ শীর্ষক প্রকল্প চালু হয়। এর অংশ হিসেবে দুই নারীর একসঙ্গে বিমান চালানোর ঘটনা এটাই প্রথম। এনওএএ জনসংযোগ কর্মকর্তা ডেভিড হিল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এনওএএ করপোরেশনের হয়ে আট বছর ধরে বৈমানিক হিসেবে কাজ করছেন লেফট্যানেন্ট কমান্ডার রেবেকা ওয়াডিংটন। তিনি বলেছেন, ‘সব নারী ফ্লাইট ক্রু নিয়ে আকাশে ওড়ার মাধ্যমে ইতিহাস গড়ে আমরা অনেক গর্বিত। এরচেয়েও বড় কথা, মানুষের নিরাপত্তায় একটি মিশনের অংশ হতে পারা।’
রেবেকা ওয়াডিংটনের আশা, বৈমানিক হতে তরুণীদের অনুপ্রাণিত করবে ঐতিহাসিক এই যাত্রা। তার কথায়, ‘নারীদের পক্ষে কী সম্ভব আর তারা কী করতে পারে তা দেখিয়ে দিতে এই মাইলফলক তরুণীদের অনুপ্রেরণা জোগাতে পারে।’
সামুদ্রিক ঝড়ের চারপাশে চালানো বিমানটি বিশেষ সাজসরঞ্জাম দিয়ে বানানো হয়েছে। এর ভেতরে সব নারী ফ্লাইট ক্রু থাকার সময় সেটি আট ঘণ্টা উড়েছে। এ দীর্ঘ সময়ে ঝড়ের কাছাকাছি ডাটা সংগ্রহের ডিভাইস ফেলে বায়ুমণ্ডলের একটি প্রোফাইল তৈরিতে সহায়তা করেছে রেবেকা ওয়াডিংটনের টিম। এর মাধ্যমে ঝড়ের পূর্বাভাস মাপতে তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, চাপ ও বায়ুগতি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা গেছে।
সূত্র: সিএনএন