ঈদের ছুটিতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে সারাদেশ থেকে হাজারও পর্যটক ভিড় জমিয়েছে অরণ্যসুন্দরী রাঙামাটিতে। তাদের পদচারণায় এখন মুখর এই পার্বত্য জেলা। নগরজীবনের ক্লান্তি ভুলতে হ্রদ পাহাড়ের শহরটির অপার সৌন্দর্যে মুগ্ধ তারা। পাহাড়ি এই জনপদ হয়ে উঠেছে বিভিন্ন বয়সী পর্যটকের মিলনমেলা।
ঈদের দিন থেকে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু, সুবলং ঝরনাসহ সবখানেই হাজারও মানুষের সরব উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। পাহাড়ি ঢলের কারণে কয়েকদিন সেতুর ওপর পানি থাকলেও তা কিছুটা নেমে গেছে। তাই পর্যটকদের উপভোগের জন্য এই সেতু উন্মুক্ত রেখেছে রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশন।
সাতক্ষীরা থেকে আসা জান্নাত আক্তার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘রাঙামাটিতে আমার আত্মীয় আছেন। ঈদের ছুটিতে তাদের বাসায় বেড়ানোর পাশাপাশি রাঙামাটির সৌন্দর্য উপভোগ করলাম। এখানে এলে বোঝা যায় বাংলাদেশ কত সুন্দর!’
একইরকম মুগ্ধ ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা হাবিবুর রহমান। তার কথায়, ‘সবসময় শুনেছি রাঙামাটি অনেক সুন্দর। এবারই প্রথম এখানে এলাম। এতদিন যা শুনেছি তার চেয়েও অনেক সুন্দর পার্বত্য জেলাটি। এক একটা পাহাড় যেন ছবি! এই সৌন্দর্যের কথা বলে বোঝানো যাবে না।’
এদিকে স্থানীয়রা ভিড় করেছেন জেলা পুলিশ পরিচালিত পলওয়েল পার্কে। শিশুদের জন্য এই স্পট সাজানো হয়েছে নতুনভাবে।
রাঙামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একেএম জাহাঙ্গীর আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘রাঙামাটিতে শিশুদের বিনোদনের জন্য তেমন কিছু নেই। এ বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের পুলিশ সুপার পার্কটিকে নতুনভাবে সাজানোর উদ্যোগ নেন। এবার স্থানীয়রাসহ সারাদেশ থেকে অনেকে এখানকার প্রকৃতি উপভোগ করেছে।’
বৃষ্টি উপেক্ষা করে পর্যটকরা আসায় খুশি রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন কান্তি বড়ুয়া। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পর্যটক বরণে আমরা সবসময় প্রস্তুত। আমাদের হোটেল-মোটেল প্রায় সবই বুকিং হয়েছে। এখনও অনেকে রুম বুকিংয়ের আগ্রহ দেখাচ্ছে।’
গত বছর পাহাড় ধসের কারণে ঈদের ছুটিতে রাঙামাটিতে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পর্যটক আসেনি। তবে এ বছর অনেকটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে এখানকার পর্যটন খাত। অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলে রাঙামাটিতে আরও বেশি পর্যটক সমাগম হতো বলে মনে করেন স্থানীয় পর্যটননির্ভর ব্যবসায়ীরা।