মিসরের বিখ্যাত পিরামিড চত্বর গিজার কাছে উন্মুক্ত করা হলো চার হাজার বছরের পুরনো একটি সমাধি। এটি প্রাচীন মিসরীয় রাজতন্ত্রের শেষ রাজবংশীয় আমলের। এ ধরনের কোনও সমাধি এবারই প্রথম ঘুরে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন বিভিন্ন দেশের দর্শনার্থীরা।
গিজার খুব কাছে সাকারা অঞ্চলে রয়েছে ভিজিয়ার মেহু’র এই সমাধি। তিনি ছিলেন রাজা পেপি’র উচ্চপর্যায়ের উপদেষ্টা। ১৯৪০ সালে এটি আবিষ্কার করেন মিসরীয় পুরাতাত্ত্বিক জাকি সাদ। মেহুর পুত্র মারানরা আর তার নাতি হাতিব খাঁর উপকরণও আছে সমাধিতে। এর দেয়ালে উল্লেখ রয়েছে, রাজা পেপির শাসনামলে ৪৮টি খেতাব পেয়েছিলেন মেহু।
মিসরীয় পুরাতত্ত্ব সুপ্রিম কাউন্সিলের মহাসচিব মোস্তফা ওয়াজিরি বলেন, ‘সাকারা গোরস্তানের সবচেয়ে সুন্দর সমাধিগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। কারণ, এর রং এখনও বিশুদ্ধ রয়েছে। আর এটি দর্শনীয়। শুধু মেহু নন, এ সমাধি তার পরিবারের সদস্যদেরও।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মেহুর সমাধি দেখতে সারিবেঁধে দাঁড়িয়েছেন দর্শনার্থীরা। অনেকে ভেতরে ইন্টেরিয়রের সামনে ছবি তুলছে। সেখানকার চিত্রকর্মগুলোতে রয়েছে ঐতিহাসিক আবহ। দেয়ালের একটি ছবিতে ফুটে উঠেছে কুমির ও কচ্ছপের মধ্যে বিয়ের পর নাচের উদযাপন। অনলাইনে এগুলো দেখে অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করেন, ‘এ সমাধির মাধ্যমে মিসর সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যাবে।’
২০১৫ সালে সন্ত্রাসী হামলায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মিসরে পর্যটকের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছিল। তবে মিসর পর্যটন সংস্থার আশা, মেহুর সমাধিকে ঘিরে দেশটিতে পর্যটক সমাগম বাড়বে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের পর তিউনিসিয়া ও তুরস্কের পাশাপাশি এখন মিসরে হোটেল বুকিং বেড়েছে।
জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার (ইউএনডব্লিউটিও) ২০১৮ সালের ট্যুরিজম হাইলাইটস রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, দ্রুত পর্যটক সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বিশ্বের এমন ১০টি দেশের তালিকার শীর্ষে আছে মিসর। ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে দেশটিতে বিদেশি ভ্রমণকারীর সংখ্যা বেড়েছে ৫৫ দশমিক ১ শতাংশ।
সূত্র: সানডে এক্সপ্রেস
আরও পড়ুন-
দ্রুত পর্যটক বাড়ছে ১০ দেশে, তালিকায় নেপাল