ফ্রান্সের প্যারিসে গেলে ভ্রমণপিপাসু ও পর্যটকরা আইফেল টাওয়ারের স্যুভেনির সঙ্গে আনতে ভোলেন না। ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত বিপণি বিতানে এটি বেচাকেনা হয়। এবার এসব স্যুভেনিরের কথা বাদ দিন। কারণ মূল আইফেল টাওয়ারই ঘরে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ এলো! বিখ্যাত এই স্থাপনার সিঁড়ির একটি অংশ নিলামে বিক্রি হলো।
দর্শনার্থীদের জন্য প্যারিসের র্যঁ-পন দে শজেলিজিতে ফরাসি নিলামঘর আর্টকিউরিয়ালের চত্বরে রাখা হয় টাওয়ারের সিঁড়ির টুকরো। মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) আয়োজকদের আশা ছিল, আইফেল টাওয়ারের সিঁড়ির টুকরো বিক্রি হবে ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার ডলারে। কিন্তু প্রত্যাশার চেয়েও বেশি অর্থ এসেছে। এগুলো বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ইউরোতে। প্যারিসের এই অনন্য স্থাপনার টুকরো নিজের করে নিতে কাড়ি কাড়ি টাকা গুনেছেন মধ্যপ্রাচ্যের একজন সংগ্রাহক।
এর আগে ২০১৩ সালে আইফেল টাওয়ারের ৩ দশমিক ৪ মিটারের মূল পরিমাপক নিলামে ২ লাখ ২০ হাজার ডলারে বিক্রি করে আর্টকিউরিয়াল। ২০১৬ সালে আরেকটি অংশ এশিয়ান ক্রেতার কাছে বিক্রি করা হয় ৫ লাখ ৯৩ হাজার ডলারে।
ফরাসি প্রকৌশলী গুস্তাভে আইফেলের নকশায় নির্মিত আইফেল টাওয়ার ১৮৮৯ সালে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত হয়। ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত এর মূল অবয়বের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার মধ্যকার অংশ যুক্ত রেখেছিল ৪ দশমিক ৩ মিটার (১৩ ফুট) সর্পিল (প্যাঁচানো আকৃতি) সিঁড়ি। লিফট স্থাপনের সময় টাওয়ারের ২৪টি অংশ সরিয়ে ফেলা হয়।
আইফেল টাওয়ারের মূল সিঁড়ির আরেকটি খণ্ড পাওয়া যায় প্যারিসের দুটি জাদুঘরে। এগুলো হলো ওরসে মিউজিয়াম ও সিটি অব সায়েন্সেস। পূর্ব ফ্রান্সে আয়রন হিস্ট্রি মিউজিয়ামে রয়েছে আরেকটি অংশ। জাপানের ইয়ামানাশির ইয়োইশি ফাউন্ডেশন বাগানেও আইফেল টাওয়ারের সিঁড়ি চোখে পড়বে। আরেকটি আছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে স্ট্যাচু অব লিবার্টির কাছে।
সূত্র: সিএনএন, এনডিটিভি