ককপিটে একজন নারী যাত্রীকে ছবি তুলতে দেওয়ায় আজীবন নিষিদ্ধ হয়েছেন চীনের একজন পাইলট। তবে তার নাম জানানো হয়নি। চীনা বিমান সংস্থা এয়ার গিলিনে কাজ করতেন তিনি।
চীনা ট্যাবলয়েড দ্য গ্লোবাল টাইমসের তথ্যানুযায়ী, এ বছরের ৪ জানুয়ারি জিটি১০১১ ফ্লাইটে ছবিটি তোলা হয়। চীনের গিলিন শহর থেকে ইয়াঙজাওতে যাচ্ছিল উড়োজাহাজটি। তখনই ককপিটে বসে ওই যাত্রীকে ছবি তোলার সুযোগ দেন পাইলট। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একজন নারী ককপিটে বসে হাস্যোজ্জ্বল ভঙিতে বিজয় চিহ্ন দেখিয়ে ক্যামেরায় পোজ দিচ্ছেন।
তবে ছবিটি আকাশে ওড়ার সময় নাকি মাটিতে থাকা অবস্থায় তোলা তা নির্দিষ্টভাবে বের করতে পারেনি এয়ার গিলিন। যদিও চীনা পাইলট ও বিশ্লেষকদের মতে, ফ্লাইট চলাকালীন ছবিটি তোলা হয়েছে। তখন অবশ্য এ নিয়ে এত আলোচনা হয়নি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওইবোতে ওই যাত্রীর একটি পোস্টের স্ক্রিনশট ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়ার কারণে গত ৩ নভেম্বর এয়ার গিলিনের নজরে আসে বিষয়টি। ক্যাপশনে ওই যাত্রী লিখেছেন, ‘ক্যাপ্টেনকে ধন্যবাদ। খুব ভালো লাগছে।’
চাইনিস নিউজ সার্ভিস ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, গিলিন ইউনিভার্সিটিতে ফ্লাইট অ্যাটেনড্যান্ট হওয়ার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ওই নারী।
এয়ার গিলিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিমান নিরাপত্তা নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন পাইলট। যদিও বৈমানিক হিসেবে চিরকালের নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পাশাপাশি তিনি সব পদ থেকে অপসারিত হয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত নয়।
চীনা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গুয়াংসি ভিত্তিক বিমান সংস্থাটির মন্তব্য, ককপিটে অপ্রাসঙ্গিক ব্যক্তিকে ঢোকার অনুমতি দিয়ে নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন পাইলট। চীনের বেসামরিক বিমান প্রশাসনের নিয়ম অনুযায়ী, বিশেষ অনুমতি কিংবা প্রয়োজনীয়তা ছাড়া ককপিটে যাওয়ার অনুমতি নেই যাত্রীদের। তদন্তের পর এ ঘটনার সঙ্গে অন্য কর্মীদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে তাদেরও সাসপেন্ড করা হবে।
বিমান সংস্থাটি আরও বলেছে, ‘যাত্রীদের সুরক্ষাকে সবসময় প্রাধান্য দেয় এয়ার গিলিন। এভিয়েশনের নিরাপত্তা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে এমন কোনও অনুপযুক্ত ও অপেশাদার আচরণের বিরুদ্ধে আমরা জিরো-টলারেন্স নীতিতে চলি।’
গত বছর স্ত্রীকে ককপিটে ঢুকতে দেওয়ায় একজন পাইলটনকে ছয় মাসের জন্য সাসপেন্ড করেছিল চীনা বিমান সংস্থা ডঙহাই এয়ারলাইনস। একইসঙ্গে ফ্লাইটের প্রশিক্ষণ দেওয়ার যোগ্যতা বাতিল করা হয় তার।
সূত্র: বিবিসি