২০১৯ সালের ওয়ার্ল্ড বিল্ডিং অব দ্য ইয়ার খেতাব পেয়েছে নেদারল্যান্ডসের তিলবার্খে অবস্থিত লোখাল পাবলিক লাইব্রেরি। এটি ডিজাইন করেছেন ডাচ স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান ব্রাক্সমা অ্যান্ড রুস আর্কিটেক্টেনব্যুরো ও ডাচ ডিজাইনার পেত্রা ব্লেসে।
বৈচিত্র্যময়তার সুবাদে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিশ্ব স্থাপত্য উৎসবে প্রায় ১৫০ স্থপতি, ডিজাইনার ও শিক্ষাবিদের একটি বিচারক প্যানেলের রায়ে এই স্বীকৃতি পেয়েছে ভবনটি।
১৯৩২ সালে এই জায়গা ছিল রেলগাড়ির ইঞ্জিন রাখার হ্যাঙ্গার। পরে এটি সর্বসাধারণের চলাচলের স্থানে রূপান্তরিত হয়। এখন এটি লাইব্রেরি ও শিল্প ভাগাভাগির জায়গা। এখানে বিভিন্ন সেমিনার ও উন্মুক্ত অনুষ্ঠান আয়োজনের জায়গা আছে। এছাড়া গবেষণার জন্য রাখা হয়েছে ল্যাব।
ডব্লিউএএফ জানিয়েছে, উচ্ছেদ করে দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও এটি অর্থবহ ভবনে রূপ নেওয়ায় বিচারকরা মুগ্ধ হয়েছেন। বিভিন্ন উদ্দেশে নানান বয়সীদের কাজের ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে জায়গাটি। একদিক দিয়ে এই ভবন সামাজিক কনডেন্সারে পরিণত হয়েছে।
বিশ্ব স্থাপত্য উৎসবের এবারের আসরে জমা পড়ে ১০০টি ভবন। এর মধ্য থেকে সেরা হয় লোখাল পাবলিক লাইব্রেরি। ফাইনালে আরও ছিল নিউজিল্যান্ডের ঢেউ আকৃতির বিলাসবহুল হোটেল লিন্ডিস লজ ও কাঠের তোরণ দেওয়া ফিলিপাইনের মাক্তান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
আবাসিক, জনবহুল ও বাণিজ্যিক স্থাপত্যে ১৮টি বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হয়। এর মধ্যে আছে বার্সেলোনার স্পোর্টস সেন্টার থেকে শুরু করে টোকিওর বিশ্ববিদ্যালয় ভবন।
২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম বিশ্ব স্থাপত্য উৎসব। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে হয়ে গেলো এই আয়োজন।
গত বছর সর্বোচ্চ সম্মাননা পেয়েছিল সিঙ্গাপুরের সবুজময় অভিনব হাউজিং কমপ্লেক্স কামপুঙ অ্যাডমিরাল্টি। একই দেশের অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স দ্য ইন্টারলেস ওয়ার্ল্ড বিল্ডিং অব দ্য ইয়ার পুরস্কার জিতেছিল।
সূত্র: সিএনএন